
নিজস্ব প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের লোহাগাড়া আমিরাবাদ এলাকার “সৃজনশীল” নামক কোচিং সেন্টারের মালিক উত্তর আমিরাবাদের আব্দুস সোবহানের ছেলে সাইফুল ইসলাম র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। আজ সোমবার (২৯ এপ্রিল) ভোর ৪:৩০টায় উত্তর আমিরাবাদ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি মাশকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। নিহত সাইফুল হাত-পা বেঁধে তার কোচিংয়ের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি বলে জানান মাশকুর। গত ১২ এপ্রিল দুপুরে সাইফুল তার এক ছাত্রীকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করেন। মাশকুর রহমান বলেন, ‘মামলা হওয়ার পর থেকে সাইফুল কোচিং বন্ধ করে দিয়ে আত্মগোপনে চলে যান। রোববার রাতে উত্তর আমিরাবাদ এলাকায় তার অবস্থানের খবর পেয়ে র্যাবের একটি টিম ভোরের দিকে সেখানে অভিযানে যায়। র্যাবের টহল টিমের সঙ্গে সাইফুল ও তার সহযোগীদের গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে। গোলাগুলির একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়, পরে সেখানে সাইফুলের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। ঘটনাস্থল থেকে দুটি অস্ত্র এবং ২৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।’
ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১২ এপ্রিল ওই ছাত্রীর মা বাসায় ছিলেন না। এই সুবাধে সাইফুল ওই দিন দুপুরে ছাত্রীর বাসায় গিয়ে হাত পা বেঁধে ধর্ষণ করে। মেয়েটির চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গত ১৫ এপ্রিল ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে সাইফুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।এজাহারে অভিযোগ আনা হয়, সাইফুল কিছু দিন ধরে উত্তর আমিরাবাদে সৃজনশীল নামে একটি কোচিং সেন্টার পরিচালনা করে আসছে । তার অনুরোধে উত্তর আমিরাবাদ এমবি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী, তার বোন ও দুই ভাইকে ওই কোচিং সেন্টারে ভর্তি করানো হয়। সেই থেকে সাইফুলের সঙ্গে ওই ছাত্রীর পরিবারের যুগসূত্র তৈরি হয়।
ছাত্রীর মা বলেন, ‘ঘটনার আগের দিন আমি বিশেষ কাজে আমার বড় মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে যাই। ঘটনার দিন সকাল আনুমানিক আটটার সময় সাইফুল আমাকে ফোন করে আমি কোথায় জানতে চায়। তারপর সে আমার ঘরে এসে মেয়েকে একা পেয়ে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করে। এসময় আমার মেয়ের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে সাইফুল পালিয়ে যায়। পরে আমার মেয়েকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে এক সপ্তাহ চিকিৎসার পর গত বৃহস্পতিবার আমরা তাকে বাড়িতে নিয়ে আসি।’