নিজস্ব প্রতিবেদক: সকাল ১০:২০ মিনিটে চির চেনা নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের ১ম নামাজে জানাযা সম্পন্ন হয়। এরপর বিএনপির পক্ষ থেকে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এসময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘তরিকুল ইসলাম আমাদের মাঝ থেকে চলে গিয়ে আমাদেরকে বাকরুদ্ধ করে দিয়েছেন। জাতির ক্রান্তিলগ্নে ও দলের কঠিন সময়ে তিনি চলে গেছেন। তার এই চলে যাওয়া অপূরণীয় ক্ষতি।’
তরিকুলের প্রতি স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘তরিকুল ইসলাম দল ও দেশের কাজ করেছেন। খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য সংগ্রাম করেছেন। অন্যায়ের সাথে কখনো তিনি আপস করেননি। ফলে দল হারালো উচ্চ মানের প্রজ্ঞাবান একজন নেতাকে। আর জাতি হারালো একজন জাতীয় নেতাকে।’
এর আগে সকাল ৯টা ৪০মিনিটে লাশবাহী গাড়ীতে তরিকুল ইসলামের মরদেহ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আনা হয়। জানাজা শেষে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগি সংগঠনগুলো ফুলেল তোরা দিয়ে তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান।
জানাজায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমদ আযম খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদসহ দলের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন ও ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এরপর বেলা সোয়া ১১টায় তার মরদেহ নেয়া হয় জাতীয় সংসদ ভবনে। দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় জানাজা। পরে মরদেহ হেলিকপ্টারে নেয়া হয় জন্মস্থান যশোরে। যশোর ঈদগা মাঠে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এর পর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
এর আগে রবিবার বিকালে দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্ত্রী ও দুই ছেলে রেখে গেছেন।