প্রভাতী ডেস্ক: বাংলাদেশের সকল প্রকার চাকরিতে যোগ দেয়ার আগে এবং কাবিন রেজিস্ট্রির আগে বর-কনের রক্তে মাদক ও থ্যালাসেমিয়ার পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এসব পরীক্ষায় মেডিক্যাল সার্টিফিকেট দাখিল কেন বাধ্যতামূলক করা হবে না, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন।
সোমবার এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি খাইরুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
গত ৫ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা শাহিন আরা লাইলীর পক্ষে এখলাছ উদ্দিন ভূইয়া হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট দায়ের করেন। সোমবার রিট আবেদনের পক্ষে তিনি শুনানি করেন।
এখলাছ উদ্দিন ভূইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘সংবিধানের ২১ ও ৩২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নাগরিক জীবন রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাষ্ট্রকে গ্রহণ করার কথা আদালতে বলেছি। আদালত আমাদের বক্তব্য শুনে এ আদেশ দেন।’
রিটের আবেদনে বলা হয়, থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে একই রোগে আক্রান্ত কোনও রোগীর বিয়ে হলে অনাগত সন্তান বিকলাঙ্গ হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে বিশেষজ্ঞরা মতামত দিয়েছেন।
এছাড়া দেশে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ মাদকাসক্ত। এর মধ্যে শতকরা ৬৫ ভাগ তরুণ। বিভিন্ন পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে বিবাহ বিচ্ছেদের অন্যতম কারণও মাদকাসক্তি।
বিভিন্ন সিটি করপোরেশনের সালিশি পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, নারীদের অভিযোগের কারণ হচ্ছে স্বামীর শারীরিক অক্ষমতা। আর ইয়াবা, হেরোইন ও অ্যালকোহলসহ বিভিন্ন ধরণের মাদক সেবনে তারা পুরুষত্বহীন হয়ে যাচ্ছে।
রিটে আরও উল্লেখ করা হয়, বিদ্যমান নিকাহনামার ৩ ও ৪ নম্বর দফায় বর-কনের জন্ম সনদের পাশাপাশি ১৭ নম্বর দফায় ডাক্তারি সার্টিফিকেট (ডোপ টেস্ট সার্টিফিকেট) বাধ্যতামূলক হলে বর-কনের ভবিষ্যত সংসার ও অনাগত সন্তানের জীবন রক্ষা পাবে।