
প্রভাতী ডেস্ক: হেফাজতে ইসলামের শোকরানা মাহফিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘কওমি জননী’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছে। রবিবার (৪ নভেম্বর)সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শোকরানা মাহফিলে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড গওহরডাঙ্গার চেয়ারম্যান ও গোপালগঞ্জের গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার মহা পরিচালক মুফতি রুহুল আমীন এ উপাধি দেন।
মুফতি রুহুল আমীন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা আপনি কওমী বিভাগকে সরকারী স্বীকৃতি দিয়েছেন সবকিছু উপেক্ষা করে। অনেক বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন এবং তার জবাব দিয়েছেন। ১৪ লাখ শিক্ষার্থীর জননীর ভূমিকা আপনি (শেখ হাসিনা) পালন করেছেন। আজকে কওমি মহাসমুদ্রে আমি ঘোষণা করতে চাই, আপনি কওমি জননী। আজ থেকে আপনাকে এ উপাধি দিলাম। আপনার মাতৃত্বের ভূমিকা না থাকলে দেশবিরোধী, সাহাবাদের শত্রু, জামাত-মওদুদীবাদীরা এ দেশে সেটা (কওমী স্বীকৃতি) হতে দিতো না।’
আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ আয়োজিত এই শোকরানা মাহফিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কওমি সনদের সরকারী স্বীকৃতি দেওয়ায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত শোকরানা মাহফিলে সারাদেশ থেকে কওমি মাদ্রাসার ছাত্র ও আলেমরা উপস্থিত হন। সকাল ৯টায় পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে মাহফিল শুরু হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভাপতিত্ব করেছেন হেফাজতে ইসলামের আমির ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক মাওলানা শাহ আহমদ শফী। প্রধানমন্ত্রী সকাল পৌনে ১১টার দিকে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান। মঞ্চে আসন গ্রহণ করার আগে কওমি নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের সমমান দিয়ে স্বীকৃতি প্রদান করায় প্রধানমন্ত্রীকে ক্রেস্ট দিয়ে সংবর্ধনা জানান শাহ আহমদ শফী। এছাড়াও শুকরিয়া আদায় করে দোয়া করেন শফী।
অনুষ্ঠান মঞ্চে কওমি আলেম ওলামাদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান উপস্থিত ছিলেন।