ইফতেখারুল ইসলাম তৈয়ব: চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া নোভেল করোনা ভাইরাস বিশ্বব্যাপী মহামারী আকার ধারণ করেছে। বাংলাদেশও এই ঝুঁকিতে থাকায় এবং কতিপয় করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায় এই ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে গত ২৬শে মার্চ থেকে ৪ঠা এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার সকল সরকারী প্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। একই সময়ে সরকারী প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও বন্ধ রাখা হয়েছে। মধ্যবিত্ত এবং অন্যান্য পেশার লোকজন কোনরকমে ২বেলা ২মুঠো খেতে পারলেও নির্মাণ শ্রমিক থেকে শুরু করে সকল দিনমজুরেরা অত্যান্ত মানবেতর জীবনযাপন করতেছে। অনাহারে-অর্ধাহারে তাদের দিন কাটে।
দেশের এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে সরকারী ত্রাণ প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। এছাড়া রাজনীতিবিদ এবং সমাজের বিত্তশালীরা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথা থাকলে তারা এগিয়ে আসছেন না। তাই অসহায় মানুষের কষ্ট আরো চরম পর্যায়ে পৌছে যাচ্ছে।
মহেশখালীর কালারমার ছড়ার ৩নং ওয়ার্ডে কোন রাজনীতিবীদ ও জনপ্রতিনিধি না হয়েও দিনমজুর ও হতদরিদ্র মানুষের এমন দুঃসময়ে তাদের পাশে দাঁড়ালেন মহেশখালীর কৃতি সন্তান তরুণ সমাজসেবক প্রকৌশলী হাসান রাসেল। তিনি চলমান এই সংকটে প্রাথমিকভাবে তার নিজ এলাকা কালারমার ছড়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের প্রায় ২শতাধিক পরিবাকে ৫ কেজি চাল, ১কেজি ডাল, ১কেজি আলু ও পেঁয়াজ প্রদান করেন। সোমবার (৩০ মার্চ) সকাল ৯টায় এই ত্রাণ বিতরণের কাজ আরম্ভ করেছেন। তিনি নিজ হাতে গরীব অসহায় ও নিন্ম আয়ের মানুষের হাতে ত্রাণসামগ্রী তুলে দেন।
এ সময় প্রকৌশলী হাসান রাসেল বলেন, মানবসেবা মহৎ কাজ। যেসকল মানুষ দিনমজুর ও বিপদগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছে নিজ সামর্থানুযায়ী তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের মানবিক ও নৈতিক দায়িত্ব। তিনি সকল বিত্তবান ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এই মহামারীর সময়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান।
এই ত্রাণসামগ্রী পেয়ে অত্যান্ত আনন্দিত হয়েছে এলাকাবাসি। তারা বলেন, যাদেরকে আমরা ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান-মেম্বার বানিয়েছি তারা আমাদের অসহায়ত্বে পাশে দাঁড়াচ্ছেন না। আর হাসান রাসেল সাহেব একজন প্রকৌশলী হয়ে আমাদের মত গরীবের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি আমাদের কাছে এমপি-মন্ত্রীর সমান।