
তারেক রহমান বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণ। তাই সবাইকে সংহতি ও ঐক্য বজায় রেখে গণতন্ত্র রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে। হুমকি-ধামকি বা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কেউ গণতন্ত্রকে দুর্বল করার চেষ্টা করলে তা জনগণ কখনো মেনে নেবে না।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, একটি মহল অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে গণতন্ত্র খর্বের চেষ্টা করছে। যারা বিরোধিতা করছে, তারা হুমকি না দিয়ে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে জনগণের মুখোমুখি হোক।
বুধবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণ। তাই সবাইকে সংহতি ও ঐক্য বজায় রেখে গণতন্ত্র রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে। হুমকি-ধামকি বা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কেউ গণতন্ত্রকে দুর্বল করার চেষ্টা করলে তা জনগণ কখনো মেনে নেবে না।
এ সময় তিনি নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করার ওপর জোর দেন এবং দলগুলোকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, গণভোট করতে গেলে রাষ্ট্রের বিপুল টাকা অপচয় হবে। গণভোটের আড়ালে পতিত ফ্যাসিবাদকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে কি না, তা ভেবে দেখতে হবে। কেউ বিএনপির বিজয় ঠেকাতে চাইলে তারা নিজেরাই বিপর্যস্ত হয়ে যেতে পারে।
তারেক রহমান বলেন, নানা শর্ত জুড়ে দিয়ে কিছু দল, যারা রাজপথে আমাদের সঙ্গী ছিল, তারা নির্বাচন নিয়ে জটিলতা তৈরি করছে। পতিতদের ফেরার সুযোগ তৈরি করছে। ফ্যাসিবাদী শাসনামলে গুপ্ত থাকা দলটির ছাতার নিচে পতিত ফ্যাসিস্টরা আশ্রয় নিয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা দরকার।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে যেনো আর কেউ দেশ ও জনগণের অধিকার হরণ করতে না পারে এবং দেশকে যেনো কেউ আর তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করতে না পারে এটিই হোক আমাদের ৭ নভেম্বরের অঙ্গীকার। এই অঙ্গীকার বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য।
বর্তমান দুর্বল সরকারকে হুমকি না দিয়ে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোকে জনগণের মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, সরকারের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে কিছু দল জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে। সরকারকে হুমকি না দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে জনগণের কাছে যাওয়া দরকার।
জামায়াত আমিরের প্রস্তাবিত নারীদের ৫ ঘণ্টার কাজ করার বিষয়েও সমালোচনা করে তারেক রহমান বলেন, ৮ ঘণ্টার জায়গায় পোশাক কারখানায় যদি নারীরা ৫ ঘণ্টা কাজ করেন, তাহলে বাকি সময়ের অর্থ কে দেবে? এর মাধ্যমে কি নারীদের কাজের সুযোগ নষ্ট হচ্ছে না। গণভোটের চেয়ে নারীদের মধ্যে চাকরি সংকুচিত হওয়ার যে আতঙ্ক, সেটি কাটানো বেশি প্রয়োজন।
দেশের কৃষি ও কৃষকদের বাঁচানো বেশি গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আলু চাষিদের যে ভর্তুকি প্রয়োজন, আবদার মেটাতে গিয়ে গণভোট করতে গেলে সমপরিমাণ অর্থ ব্যয় হবে। গণভোটের চেয়ে আলু চাষিদের ন্যায্যমূল্য পাওয়া বেশি প্রয়োজন। জনগণের হাজার-হাজার কোটি টাকা দিয়ে গণভোট উৎপাদনের চেয়ে পেঁয়াজের সংরক্ষণাগার বেশি প্রয়োজন। কিন্তু ওইসব চাষিদের কথা বলার মতো দেশে কেউ নেই, এটাই দুর্ভাগ্য।
আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দলসহ সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।









