প্রভাতী ডেস্ক: যুব মহিলা লীগ থেকে সদ্য বহিষ্কৃত শামীমা নূর পাপিয়ার সঙ্গী ছিলেন বা ছিলেন না- এমন শতাধিক প্রভাবশালী লোক ভীত হয়ে গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের ফোন করে ‘আত্মপক্ষ সমর্থন’ করছেন। কেউ কেউ বলছেন, ‘আমার সঙ্গে তার (পাপিয়া) কখনো দেখাই হয়নি। ’ কিন্তু তদন্তে তো আপনার নাম আসছে, কি বলেন? তাদের জবাব, ‘সত্য নয়। মানসম্মানটা রাইখেন। আমি অনৈতিক কাজে জড়িত নই। ’
অনেকে এভাবেই আত্মপক্ষ সমর্থন করছেন। তাদের মধ্যে রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী, সচিব পর্যায়ের উর্ধতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন রয়েছেন জানিয়ে সরকারের একটি বিশেষ সংস্থার এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, পাপিয়ার ঘনিষ্ঠ দুর্নীতিবাজ, অবৈধ অর্থের মালিকরা এখন রীতিমতো দৌড়াদৌড়ি করছেন। খোঁজ রাখছেন এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্তের দিকেও।
এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, প্রতিদিনই কোনো না কোনো গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে ফোন করছেন গুলশানের ওই অভিজাত হোটেলে নিয়মিত যাতায়াত ছিল এমন অনেক প্রভাবশালী লোকজন। এর সঙ্গে না জড়াতে তাদের অনেকেই অনুরোধও করছেন। এ ব্যাপারে পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি মিডিয়া) সোহেল রানা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঘটনাটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত চলছে। এই অপকর্মের সঙ্গে যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাচ্ছে তাদেরকেও বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ২২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাল টাকা বহন ও অবৈধ টাকা পাচারের অভিযোগে শামীমা নূর পাপিয়া ওরফে পিউসহ ৪জনকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরদিন সকালে রাজধানীর ইন্দিরা রোডে পাপিয়ার বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ২০ রাউন্ড গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, পাঁচটি পাসপোর্ট, তিনটি চেক, বেশকিছু বিদেশি মুদ্রা ও বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি এটিএম কার্ড উদ্ধার করা হয়।