মঙ্গলবার, ১৫ই অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মঙ্গলবার, ১৫ই অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ মঙ্গলবার, ১৫ই অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই রবিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি

মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির নয় বিলকিস !

প্রভাতী ডেস্ক: বেসরকারী শীর্ষ স্থানীয় স্যাটেলাইট টেলিভিশন মাই টিভি’র মালিকানা দাবী করছেন বিলকিস জাহান নামের একজন ভদ্র মহিলা। দীর্ঘদিন পর্যন্ত বিভিন্ন মাধ্যমে তিনি এই দাবী করে আসছেন। তিনি বলছেন,মাই টিভি লিঃ নামের প্রতিষ্ঠানে নাসির উদ্দিন সাথী কর্মরত ছিলেন।

বিলকিস জাহানের স্বামী হঠাৎ মারা যাওয়ার পর তিনিও অসুস্থ হয়ে পড়লে নাসির উদ্দিন সাথী জাল-জালিয়াতী করে “মাই টিভি লিঃ” প্রতিষ্ঠানকে লিমিটেড শব্দ বাদ দিয়ে শুধু মাই টিভি নাম দিয়ে নিজের নামে চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে এব্যপারে মাই টিভি’র চেয়ারম্যান দাবীদার নাসির উদ্দিন সাথীর কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

মাই টিভি লিঃ এর ভাইস-চেয়ারম্যান পরিচয় দিয়ে এনামুল হক খান নামের একজন তাঁর ফেসবুক এ্যাকাউন্ট Anamul Hoque khan থেকে একটি পোস্ট দেন।

লিখাটি নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো:

আমি জানিনা, বললেন অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রচার) তথ্য মন্ত্রণালয়। চলছে অনুমোদন বিহীন mytv…(লিমিটেড শব্দটা বাদ দিয়ে শুধু মাত্র ছোট অক্ষরে mytv লিখে লগো চেইঞ্জ করে)।

বাংলাদেশ এর ইতিহাসে কলংকজনক অধ্যায় এর শুভ সুচণা মনে হচ্ছে। মিডিয়াকে আমরা জাতীর বিবেক বলে থাকি।এই মিডিয়াই সকল দুর্নীতি জনসমক্ষে তুলে ধরে। বের করে নিয়ে আসে খবরের অন্তরালের খবর।কিন্তু একি দেখছি আমি? ভুত তাড়াতে বাড়ীতে সরষে রাখা হয়, আর সেই সরষেতেই ভুত?বাংলাদেশে টেলিভিশন চ্যানেল অনুমোদন করেন শুধুমাত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা উনার একক সিদ্ধান্তে। আর বাংলাদেশে মাইটিভি লিঃ নামে একটাই চ্যানেল অনুমোদন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। যা আমাদের এমডি জনাব বিলকিস জাহান এর নামে। এটাই হলো আমাদের মাইটিভি লিঃ। তাহলে এই mytv কে অনুমোদন দিলো?

তথ্য মন্ত্রণালয় এর অতিরিক্ত সচিব(সম্প্রচার), বলছেন তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে নাসিরুদ্দিন কে mytv এর লাইসেন্স দিয়েছেন। আমি তখন প্রশ্ন করেছিলাম, এই লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষমতা তো তথ্য মন্ত্রণালয়ের নাই।যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন না করেন।তাহলে আপনারা কিভাবে দিলেন? উনি বললেন, আমি নতুন। তিন মাস হলো এসেছি,আমি জানিনা। আমি সরকার এর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, এই সরকার জননেত্রীর সরকার।

আপনারা এমন কোন কাজ করবেন না, জননেত্রীর সরকারের উপর আংগুল উচু করে দুর্নীতিবাজ বলতে পারে। এখনো সময় আছে, তদন্ত করে সত্যকে প্রতিষ্ঠা করুন। মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করতে যাবেন না। আগামী দুই দিনের এর মধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তি করুন। নেত্রী যদি এতো বড় একটা দুর্নীতির কথা জানতে পারেন, তাহলে তিনি কিন্তু ছাড় দিবেন না, সে যেই হউক।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print