শনিবার, ১৪ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শনিবার, ১৪ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ শনিবার, ১৪ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রাম আদালতের হাজতখানার অনিয়ম-দুর্নীতি রোধে ১২ সুপারিশ 

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম আদালতের হাজতখানায় অনিময়-দুর্নীতির তদন্ত শেষ করেছে তিন সদস্যের বিচারিক তদন্ত কমিটি। বৃহস্পতিবার (১লা আগষ্ট) এ কমিটি চট্টগ্রাম মুখ্য মহানগর হাকিম(সিএমএম) মো. ওসমান গনির আদালতে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়।

তদন্তে হাজতখানায় নানা অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেলেও অনিয়মের সঙ্গে জড়িত কোন পুলিশ সদস্যকে শনাক্ত করা যায়নি। তবে এসব অনিয়ম রোধে তদন্ত কমিটি ১২ দফা সুপারিশ করেছে।

তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম সিএমএম আদালতের নাজির মো. আবুল কালাম আজাদ।

তদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, হাজতখানায় নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে কিছু পুলিশ সদস্য আসামিদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া, মোবাইলে কথা বলতে দেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত। তবে অনিয়মের সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যরা তাদের বুকে থাকা নাম সম্বলিত ব্যাজ পরিধান না করায় এবং সুনির্দিষ্ট কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ না পাওয়ায় অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

তদন্ত কমিটির রিপোর্টে উল্লেখ করা সুপারিশগুলো হলো: দীর্ঘদিন যাবত যে সকল পুলিশ সদস্য হাজতখানায় দায়িত্ব পালন করছেন তাদের নির্দিষ্ট সময় অন্তর বদলী করা, হাজতখানায় নিবন্ধিত আইনজীবী ছাড়া দর্শনার্থীর প্রবেশ বন্ধ করা, হাজতখানার ভেতর ও বাহির সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসা, হাজতখানা কেন্দ্রীক টাউট চিহ্নিত করে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা, পুরুষ হাজতখানার কক্ষ বৃদ্ধি, পর্যাপ্ত আলো বাতাসের ব্যবস্থা করা, প্রতিটি কক্ষে সুপেয় পানির ব্যবস্থা, হাজতখানায় পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, হাজতখানায় দায়িত্বরত সকল পুলিশ সদস্যদের বুকে নাম সম্বলিত ব্যাজ পরা নিশ্চিত করা, কারাগার থেকে যেসব আসামিকে আদালতে আনা হয় তাদের দুপুরের খাবার কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে নিশ্চিত করা।

গত ১১ জুলাই চট্টগ্রাম অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মহিউদ্দিন মুরাদকে সভাপতি করে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আবু সালেম মোহাম্মদ নোমানকে সদস্য সচিব ও চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম সারোয়ার জাহানকে সদস্য করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত শেষে এই তিন সদস্যের কমিটি তদন্ত রিপোর্ট চট্টগ্রাম সিএমএম আদালতে হস্তান্তর করে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print