বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জাতিসংঘ। বিচার ব্যবস্থা ব্যবহার করে মানবাধিকার আইনজীবী, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের হয়রানি করা নিয়ে ক্রমাগত উদ্বেগ জানিয়ে আসছে জাতিসংঘ।সোমবার(৪ মার্চ) জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৫তম সভায় বৈশ্বিক মানবাধিকার চিত্রের হালনাগাদ তুলে ধরার সময় বাংলাদেশ প্রসঙ্গে এমন মন্তব্য করেন সংস্থাটির মানবাধিকার হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক।
ভলকার তুর্ক বলেন, বাংলাদেশে হাজার হাজার বিরোধী দলের নেতা ও কর্মী আটক রয়েছেন এবং গত অক্টোবর থেকে আটক অবস্থায় বেশ কিছু মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, তাতে আমি উদ্বিগ্ন। আমি যেকোনো ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার নিন্দা জানাই। সেই সঙ্গে আটক বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মুক্তির লক্ষ্যে এ সকল মামলার দ্রুত পর্যালোচনার আহ্বান জানাই। এছাড়া রাজনৈতিক বিরোধ মিটিয়ে রাজনৈতিক সংলাপের প্রতি উৎসাহিত করি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিচার ব্যবস্থা ব্যবহার করে মানবাধিকার আইনজীবী, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের হয়রানির অভিযোগে আমি উদ্বেগ জানিয়ে আসছি। এছাড়া আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রেখে জোরপূর্বক গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগগুলোকে তদন্তের জন্য সরকারকে উৎসাহিত করি।
জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধানের এমন বক্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধানের কার্যালয়ের অভিযোগগুলোর তথ্য আমরা দিয়ে রেখেছি। বিশেষ করে যে সংখ্যাগুলো জাতিসংঘ থেকে বলা হয়েছে। অন্যায়ভাবে বা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কাউকে হয়রানি না করা নিয়ে তথ্যও তাকে দেওয়া হয়েছে। আবারও জাতিসংঘে যোগাযোগ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে দেখা গিয়েছে যে অনেকে জামিনে মুক্ত হচ্ছেন। আর জাতিসংঘের সঙ্গে এটি আমাদের চলমান প্রক্রিয়া। জাতিসংঘের সঙ্গে আমরা যোগাযোগে থাকবো, যাতে ঢালাওভাবে অপবাদ দেওয়ার আগে যাতে তথ্য যাচাই করে নেয়। একেক দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি একেক রকম, সবগুলো এক করে দেখা ভালোভাবে দেখছে না বাংলাদেশ।