শনিবার, ২৫শে জানুয়ারি ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শনিবার, ২৫শে জানুয়ারি ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ শনিবার, ২৫শে জানুয়ারি ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে রজব ১৪৪৬ হিজরি

ভারতীয় সমাজে দাম্পত্য কলহ আগের তুলনায় বেড়েছে

দাম্পত্য কলহ বাড়াচ্ছে ‘প্রেমের বিয়ে’ 

হিন্দু বিবাহ আইন সংশোধন করার জন্য সরকারকে অনুরোধও করেন

প্রেম করে বিয়ে করলে দাম্পত্য কলহের আশঙ্কা বেশি থাকে। অনেক ক্ষেত্রে তা বিবাহবিচ্ছেদ পর্যন্ত গড়ায়, এমনটিই মন্তব্য করেছেন ভারতের এলাহাবাদ হাইকোর্ট। এ কারণে হিন্দু বিবাহ আইন সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেছেন ভারতের আদালত।

রোববার (৩ মার্চ) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এ সংবাদ জানিয়েছে।

সংবাদমাধ্যমে জানা যায়, গতকাল শনিবার এক যুবকের বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন মঞ্জুর করার সময় এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক কুমার বিড়লা এবং বিচারপতি দোনাদি রমেশের ডিভিশন বেঞ্চ এসব মন্তব্য করেছেন। এ সময় তারা হিন্দু বিবাহ আইন সংশোধন করার জন্য সরকারকে অনুরোধও করেন।

শুনানির সময় এই বেঞ্চ আরও বলেন, ১৯৫৫ সালে হিন্দু বিবাহ আইন প্রণয়ন করার সময় ভারতীয় সমাজের বৈবাহিক অবস্থা যেমন ছিল, এখন তা নেই। সেই আবেগ, অনুভূতি ও শ্রদ্ধাবোধের পরিবর্তন হয়েছে। এখন প্রেমের বিয়ে অনেক সহজ হয়েছে, আগে যা ছিল না। সমাজ এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি মুক্ত ও স্বাধীন হয়েছে। সুতরাং সময়ের সঙ্গে আইন সংস্কার হওয়া প্রয়োজন।

তবে প্রেমের বিয়ের কারণে ভারতীয় সমাজে দাম্পত্য কলহ আগের তুলনায় বেড়েছে বলেও পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছেন বিচারপতি বিবেক কুমার বিড়লা এবং বিচারপতি দোনাদি রমেশের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতিদের এই বেঞ্চ বলেন, প্রেমের মাধ্যমে যেসব বিয়ে হচ্ছে, সেসব বৈবাহিক সম্পর্ক একটা পর্যায়ে গিয়ে শিথিল হয়ে পড়ছে, নানা ধরনের বিবাদ তৈরি হচ্ছে এবং শেষে তারা আলাদা থাকতে শুরু করছে।

আদালতের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, বিয়ের এই বদলকে প্রভাবিত করেছে শিক্ষা, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, জাতপাতের বাঁধ ভাঙা, আধুনিকতা এবং পশ্চিমা সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ। সমাজ এখন আরও বেশি উদার, স্বাধীন হয়ে উঠেছে। যে কারণে বিয়েতে আর আগের মতো আবেগের প্রয়োজন হয় না। এ ধরনের কিছু বিষয় বর্তমানে দাম্পত্য জীবনকে প্রভাবিত করছে। তাই বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আইনে বদল আনা প্রয়োজন।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print