শনিবার, ১০ই মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শনিবার, ১০ই মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ শনিবার, ১০ই মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১১ই জিলকদ ১৪৪৬ হিজরি

২০২০ সালে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন করেন

ই-পাসপোর্ট পেয়েছে দেশের ৯৮ লাখ ৩২ হাজার মানুষ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বতর্মানে দেশের ৬৪ জেলার ৭২ অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট দেওয়া হচ্ছে

বাংলাদেশের ৯৮ লাখ ৩২ হাজার ই-পাসপোর্ট জনগণের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বাংলাদেশের ৩২তম বৈদেশিক মিশন হিসেবে স্টকহোম সুইডেনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে তিনি এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, ‘বতর্মানে দেশের ৬৪ জেলার ৭২ অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। আজকে ৩২তম বৈদেশিক মিশন হিসেবে সুইডেনে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু হয়েছে। এ পর্যন্ত ৯৮ লাখ ৩২ হাজার ই-পাসপোর্ট জনগণের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। শিগগির দেশের ৮০ টি মিশনে এর কার্যকারিতা শুরু হবে।’

আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘প্রধামন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ২০২০ সালে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন করেন। ২০২০ সালের ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে বর্তমান বিশ্বের সর্বাধুনিক ই-পাসপোর্টের উদ্বোধন ঘোষণা করে বলেছিলেন, ‘ই-পাসপোর্ট বাংলাদেশের জনগণের জন্য মুজিববর্ষের উপহার।’

‘বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট সেবা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের ফসল। বাংলাদেশ আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তালমিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। চাহিদা ও উন্নত দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জাতীয় অবস্থান, মর্যাদা সুসংহত করার লক্ষ্যে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন ও চালুর উদ্যোগ দেয়। এরই মধ্যে বাংলাদেশের সব পাসপোর্ট অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। বিমানবন্দরে ই-গেট স্থাপন করা হয়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম এমনকি উন্নত দেশগুলোর স্বল্পসংখ্যক দেশে স্থাপিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় আমরা শিগগির ই-ভিসা কার্যক্রমও শুরু করতে পারবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশি প্রবাসীরা বিদেশে অবস্থান করে দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন এবং বিদেশে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রবাসীরা যাতে যথাসময়ে সময়োপযোগী সেবা পান সেজন্য সরকার সবসময় সচেষ্ট। তারই ধারাবাহিকতায় বৈদেশিক মিশনগুলোতে ই-পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রম উদ্বোধন হচ্ছে।’

অনুষ্ঠানে সুইডেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের ডেপুটি ডিরেক্টর এবং সুইডেনে বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির বেশ কয়েকজন সদস্য বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মেহ্দী হাসান। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোসাম্মৎ সাহানারা খাতুন, সুইডেনে অবস্থানরত বাংলাদেশি প্রবাসী প্রমুখ।

গত ১৮ আগস্ট বেলজিয়ামের ব্রাসেলস দূতাবাসে ৩১তম বৈদেশিক মিশন হিসেবে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print