শনিবার, ১২ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শনিবার, ১২ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ শনিবার, ১২ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৬ই মহর্‌রম ১৪৪৭ হিজরি

রাষ্ট্রবিরোধী ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে শিশুবক্তা’ রফিকুল আটক !

প্রভাতী ডেস্ক : রাষ্ট্রবিরোধী ও উস্কানিমূলক’ বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে নেত্রকোনা থেকে আটক করা হয়েছে নেত্রকোনা জেলার পশ্চিম বিলাশপুর সাওতুল হেরা মাদ্রাসার পরিচালক ও ‘শিশুবক্তা’ হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলামকে। বুধবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে নেত্রকোনা থেকে তাকে আটক করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তদন্ত সংশ্লিষ্ট র‌্যাব কর্মকর্তারা জানান, রফিকুল ইসলামরা পাঁচ ভাই। তিনি সবার ছোট। তার বাবার নাম মৃত শাহাবুদ্দিন। রফিকুল নেত্রকোনার মালনী এলাকায় জামিয়া ইসলামিয়া হুসাইনিয়া মাদরাসায় অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে ঢাকায় চলে আসেন। ঢাকার বারিধারার জামিয়া মাদানীয়া মাদরাসায় পড়াশোনা করেন। খর্বাকৃতির শারীরিক গঠন হলেও তার বয়স প্রায় ২৬-২৭ বছর। খর্বাকৃতির কারণে রফিকুল ইসলাম ‘শিশুবক্তা’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।

২০১৯ সালে নিজের ভাবির এক চাচাতো বোনকে মুখে মুখে কবুল বলে বিয়ে করেছিলেন । বিয়ের কথা জানত না দুইপক্ষের পরিবারের কেউ। সে বিয়ের কাবিন বা সাক্ষী সম্পর্কেও স্পষ্ট তথ্য দিতে পারেননি তিনি।

এছাড়া কথিত এই শিশুবক্তার মোবাইল ফোন চেক করে একাধিক পর্নো ভিডিও পাওয়া যায়। তার মোবাইল ফোনের ফেসবুক মেসেঞ্জারে বিভিন্নজনকে পাঠানো আপত্তিকর ছবিও পাওয়া গেছে। র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) সদর দফতরের গোয়েন্দা সংস্থা থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, রফিকুল ইসলামকে আটকের পরপরই তার মোবাইল ফোন চেক করে দেখে র‌্যাব। এ সময় তার মোবাইলে একাধিক পর্নো ভিডিও পাওয়া যায়। কিছু বিদেশি পর্নো ভিডিও পাওয়া যায় যা ডাউনলোড করা এবং তার মোবাইলের ব্রাউজার চেক করে দেখা যায় নিয়মিত তিনি সার্চ করে পর্নো দেখতেন।

এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদে রফিকুল জানান, ২০১৯ সালে নিজের ভাবির এক চাচাতো বোনকে মুখে মুখে কবুল করে বিয়ে করেন তিনি। মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) তার পরিবারের লোকজন বিয়ের ব্যাপারে কথা বলতে ওই মেয়ের বাসায় গিয়েছিলেন। কিন্তু এক পর্যায়ে রফিকুলের পরিবারের লোকজনের মেয়ে দেখে পছন্দ না হওয়ায় বিয়েতে দ্বিমত করেন তারা। এরপর ওই মেয়ের মেসেঞ্জারে রফিকুল লেখেন, ‘প্রয়োজনে ১০ বছর হলেও অপেক্ষা করে তোমাকে বিয়ে করবো।’

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে র‌্যাব সদর দফতরের গোয়েন্দা শাখার প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মদ খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘রফিকুল ইসলামের মোবাইল ফোনে বেশকিছু আপত্তিকর ভিডিও পেয়েছি। এছাড়া রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ দেশের শীর্ষ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে কুৎসা, কটূক্তিমূলক, বক্তব্য ভিডিও এবং ফেসবুক কনটেন্ট পেয়েছি। তার বিরুদ্ধে মামলা হবে।’

রাষ্ট্রবিরোধী, উসকানিমূলক এবং ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাশাপাশি রাষ্ট্রের শীর্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে কটাক্ষ করার অভিযোগে ‘শিশুবক্তা’ হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলামকে আটক করে পুলিশের এলিট ফোর্স র‍্যাব।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print