বুধবার, ৪ঠা ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বুধবার, ৪ঠা ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ বুধবার, ৪ঠা ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১লা জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি

কাজ করব – কিসের লকডাউন? কিসের সরকার? কিসের পুলিশ? কিসের সাংবাদিক?

সাবেক চেয়ারম্যান কামাল

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকার লকডাউন ঘোষণার পর সকল প্রকার কাজকর্ম বন্ধ রাখা হয়েছে। দিনমজুর এবং শ্রমজীবী মানুষ যাতে অনাহারে কষ্ট না পায় তাই সরকার ত্রাণ সরবরাহ করতেছে। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠনও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন প্রতিনিয়ত। কিন্তু এমতাবস্থায় কিছু অসাধু লোকজন নির্মাণ শ্রমিকদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার বাহানায় তাদেরকে দিয়ে বিরোধীয় এবং মামলা চলাকালীন সম্পত্তির উপর নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

এমনই একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানাধীন খাজা রোডের সাবানঘাটা এলাকা থেকে। উক্ত এলাকার সাবেক চেয়ারম্যান কামালের বাড়ী সংলগ্ন কিছু বিরোধীয় সম্পত্তিতে নির্মাণ কাজের নেতৃত্ব দিচ্ছেন কামাল নিজেই।

এমন অভিযোগ পাওয়ার পর সরেজমিনে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে কর্মরত ১০-১৫জন শ্রমিকসহ এলাকার অনেক লোকজন তেড়ে আসে এবং সংবাদকর্মী নিয়ে বিভিন্ন প্রকার কটুক্তি করতে থাকে। একপর্যায়ে সাবেক চেয়ারম্যান কামাল এসে প্রশ্ন করেন যে কোন জায়গা থেকে সাংবাদিক এসেছে? প্রতিবেদক নিজের পরিচয় দেওয়ার পর তিনি বলেন- আমার জায়গায় আমি কাজ করবো এখানে তোমাদের কাজ কি? সরকার কারো জন্য একবেলা ভাতের ব্যবস্থা করতে পারতেছে না ঐসব নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ কর। লকডাউনে সরকারী নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও কেন কাজ করা হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি ক্ষেপে গিয়ে বলেন কিসের সরকার? কিসের প্রশাসন? কিসের সাংবাদিক? এসব আমি মানি না। এই বিষয়ে যদি সংবাদ প্রকাশ করা হয় তাহলে তোমাকে আমি দেখে নিব। তোমার বিরুদ্ধে মামলা করবো।

জানা যায়, উক্ত সম্পত্তি নিয়ে একই এলাকার নূরুল ইসলাম বাদী হয়ে মো: ইকবাল, আলভী, নূরুন্নাহার এবং মো: বখতিয়ারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলা চলমান থাকার পরেও আদালত বন্ধ থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রাতারাতি নির্মাণ কাজ চালিয়ে উক্ত জায়গা দখল করার পায়তারা করেতেছে বিবাদীরা।

এই ব্যাপারে জানতে চাইলে চান্দগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, তারা মামলা করেছে, উক্ত মামলায় থানা থেকে প্রতিবেদনও প্রেরণ করা হয়েছে। তাদেরকে স্থায়ীভাবে কাজে নিষেধ করার তো থানার এখতিয়ার নেই। লকডাউনে কিভাবে কাজ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশ প্রেরণ করা হয়েছে বেশ কয়েকবার। কিন্তু শ্রমিকরা পুলিশ দেখলে পালিয়ে যায়।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print