প্রভাতী ডেস্ক: রাজধানীর যেখানেই বিএনপির কর্মসূচি হয়েছে প্রায় অধিকাংশ কর্মসূচিতেই দেখা মিলতো রিজভী হাওলাদার প্রকাশ পাগলা রিজভীর। কখনো কাফনের কাপড়ে শরীর মুড়ে, কখনও আবার ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’ বা ‘তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার চাই’ এমন সব ব্যানারে নিজেকে মুড়িয়ে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া সেই ‘বিএনপি পাগল’ রিজভী হাওলাদার আর নেই।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাত ১০টা ২০ মিনিটে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তার মৃত্যু হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবীর খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
শায়রুল বলেন, আমাদের দল পাগল রিজভী হাওলাদার ইন্তেকাল করেছেন। তার মরদেহ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে রয়েছে। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর বিএনপি দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল ভাই, ছাত্রদলের দফতরের দায়িত্বে থাকা আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারীসহ অন্যান্যা নেতারা সেখানে উপস্থিত আছেন।
তিনি আরো বলেন, রিজভী ইন্তেকাল করেছেন। আমি ওকে অনেক আদর করতাম। মৃত্যুর সংবাদ শুনে খুব খারাপ লাগছে। আল্লাহ যেন তাকে বেহেশত নসিব করেন।
সাত্তার পাটোয়ারী রাত সাড়ে ১২টার দিকে জানান, শনিবার চিকিৎসার জন্য কাকরাইলে ইসলামী ব্যাংক হাসাপাতালে যান রিজভী। পরে সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে যেতে বলা হয়। ঢামেক থেকে তিনি নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে আসছিলেন। কার্যালয়ের সামনে এসে রিকশা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় তার।
তিনি আরও জানান, রাত দেড়টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে রিজভী হাওলাদারের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল এবং আমিসহ অন্যান্যরা সেখানে ছিলাম। জানাজা শেষে রাতেই তার মরদেহ বাউফলের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়।
রিজভী হাওলাদারের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ছোট্টকান্দা গ্রামে। তার বাবার নাম আজহার হাওলাদার। নারায়ণগঞ্জের কুতুবপুরে থাকেন তিনি। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
প্রায় প্রতিদিন ভোরে বিএনপি কার্যালয় এলাকায় আসতেন রিজভী হাওলাদার। সন্ধ্যার পর আবার নারায়ণগঞ্জ ফিরে যেতেন। কিন্তু আজ আর তার পরিবারের কাছে ফেরা হলো না।