Search

রবিবার, ১৬ই নভেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

রবিবার, ১৬ই নভেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ রবিবার, ১৬ই নভেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৪শে জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি

মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ

প্রভাতী ডেস্ক: বরগুনায় আলোচিত রিফাত হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী ও তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে তাকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।

এর আগে সকাল পৌনে ১০টার দিকে আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে তার বাবার বাড়ি থেকে পুলিশ লাইনসে আনা হয়।

বরগুনার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে স্বামী রিফাত হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা প্রতীয়মান হওয়ায় প্রধান সাক্ষী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এসপি বলেছিলেন, মামলার তদন্তের জন্যই আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির সঙ্গে কথা বলা দরকার। সে জন্য তাকে পুলিশ লাইনসে আনা হয়েছে। মিন্নির সঙ্গে তার বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোরকেও পুলিশলাইনসে আনা হয়েছে।

পুলিশ সুপার জানান, রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় পুলিশ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড গত ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত আসামিদের মধ্যে পর্যন্ত ১০ জন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। বাকি ৩ জন এখনো রিমান্ডে রয়েছে বলে জানান তিনি।

এ মামলার এজাহারভুক্ত ৫ জন আসামি পলাতক রয়েছে। তারা হলো- রিশান ফরাজী, মাসা (বন্ড), রায়হান, মুহায়মিনুল ইসলাম সিফাত ও মো. রিফাত।

আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির চাচা আবু সালেহ জানান, সকাল পৌনে ১০টার দিকে মিন্নিকে আনার জন্য নারী পুলিশের একটি দল মোজাম্মেল হোসেন কিশোরের বাড়িতে যায়।

তিনি বলেন, পুলিশ মিন্নির পরিবারকে জানিয়েছিল- রিফাত হত্যা মামলার আসামিদের শনাক্ত ও মামলার বিষয়ে কথা বলার জন্য তাকে পুলিশলাইনসে যেতে হবে।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের প্রধান গেটের সামনে ঘাতকেরা স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির সামনে প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে রিফাত শরীফকে। গুরুতর আহত রিফাতকে এদিন বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকাল ৪টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print