বুধবার, ১৯শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বুধবার, ১৯শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ বুধবার, ১৯শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে শাবান ১৪৪৬ হিজরি

মা দিবসে তারেক রহমানের বাণী

১২ই মে বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষ্যে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান এক বিশেষ বাণী দিয়েছেন। গণ মাধ্যমে পাঠানো তাঁর বাণী টি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো।

”আন্তর্জাতিক মা দিবস উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মা’কে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। তাদের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করি। ‘মা’ এই শব্দটির চাইতে প্রিয় শব্দ বোধ করি আর নেই। পরিবারের স্বাভাবিক বিকাশ সাধিত হয় জন্মদাত্রী মা’কে ঘিরেই। পরিবারে মা হচ্ছেন এক স্বর্গীয় বিস্ময়কর প্রতিষ্ঠান। মহিয়সী মা’য়ের তত্ত্বাবধানেই শিশুকাল থেকে ছেলে-মেয়েরা সুসন্তান হিসেবে গড়ে ওঠে। আবহমান কাল ধরেই এই অমোঘ ধারা চলে আসছে। ‘মা’ শব্দটি উচ্চারিত হওয়ার সাথে সাথে আমাদের হৃদয়ের মানসপটে ভেসে উঠে অসীম, চিরন্তন, আত্মত্যাগ, ভালবাসার প্রতিচ্ছবি, এক মমতাময়ী প্রতিমূর্তি। সুমাতার সাহচার্য সন্তানের উৎকর্ষতা ও প্রকৃত মানব-সত্ত্বার জাগরন ঘটায়, সন্তানের আত্মাকে করে নির্মল, স্বচ্ছ ও পবিত্র। নিষ্ঠা সহকারে দায়িত্ব পালন ও গ্রহণ করতে মায়েরা থাকেন সন্তানদের নিকট অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। সন্তানদের সুশৃঙ্খল, শিষ্ট ও সর্বক্ষেত্রে যোগ্য হয়ে গড়ে উঠার পিছনে থাকে একমাত্র মায়েদের অক্লান্ত অবদান। সুমাতার সাহচর্যে গড়ে ওঠা সন্তানই সমাজ ও রাষ্ট্রের সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন।

‘গণতন্ত্রের মা’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে এক ভয়াল কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়েছে। রাষ্ট্রের গণতান্তিক বিকাশ এবং অগ্রসর সমাজ বিনির্মাণের ক্ষেত্রে তাঁর রাজনৈতিক জীবন কেটেছে নিরবিচ্ছিন্ন সংগ্রাম ও নিরলস পরিশ্রমে। তাঁর নেতৃত্বে বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় নারী শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটেছিল। বিএনপি’র শাসনামলে স্কুল থেকে ছাত্রীরা যাতে ঝরে না পড়ে তার জন্য দেশনেত্রী নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। আজকের এই দিনে নারী শিক্ষার আলোকবর্তিকা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া স্বেচ্ছাচারীর কারাগারে বন্দী-তাঁকে নি:শর্ত মুক্তি দিতে হবে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি-দায়িত্বশীল ও শিক্ষায় আলোকিত মায়েদের সুসন্তানরাই দীর্ঘদিনের অচলায়তন ভেঙ্গে সামাজিক অগ্রগতি তরান্বিত করবে এবং জাতীয় উন্নয়নকে করবে বেগবান ।

আজকের দিনে আমার প্রত্যাশা সকল মা যেন তার সন্তানদের যোগ্য ও সুনাগরিক হিসাবে গড়ে তুলতে সক্ষম হন। বর্তমান দু:সময়ে সামাজিক অবক্ষয়ে জনজীবনে অন্ধকার নেমে এসেছে। নারী-শিশুর ওপর নির্যাতনের হিড়িকে ভয়ানক নৈরাজ্যে সমাজে বিপজ্জনক পরিস্থিতি বিরাজমান। এমতাবস্থায় সন্তানকে নির্ভূল, সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারে কেবলমাত্র সুমাতা। যাতে জাতির আগামী ভবিষ্যত উজ্জল থেকে উজ্জলতর হয়।
আল্লাহ হাফেজ। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।”

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print