স্টাফ রিপোর্টার: চট্টগ্রামের আনোয়ারার বহুল আলোচিত সেই চিংড়ি-জামাই আলমগীর সালিশে গিয়ে নিজের ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে ৩লক্ষ টাকা জরিমানা প্রদান করে ৫অক্টোবর কনেকে নিজ বাড়ীতে নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দিলেও জরিমানার টাকা জোগাড় হয়নি মর্মে জানিয়ে কনেকে উঠিয়ে নেন নি।তবে এভাবে নিজের কন্যাকে দেয়া যাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন কনের বাবা মোহাম্মদ হোসেন।তিনি বলেন,সালিশী রোয়েদাদকে শ্রদ্ধা জানিয়ে মেয়েকে লোভী আলমগীরের হাতে দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।কিন্তু বরপক্ষের নতুন ষড়যন্ত্রে তিনি হতাশ।এসব আর ভাল লাগছে না তার। তার মেয়ের জীবন নিয়ে আলমগীর তামাশা করছে।তার ধারণা মেয়ের জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবে বিয়ে টা ভেঙ্গে দিলে অনেক ভালো হবে।তিনি প্রশ্ন করে বলেন,৭০ হাজার টাকার আসবাবপত্রসহ সংসারের সকল জিনিস প্রদানের পরেও তার মেয়ে একদিন ও সংসার করতে পারলো না,এর চাইতে কষ্টের আর কি থাকতে পারে?
এইদিকে ছেলের বাবা জানিয়েছেন সালিশি বৈঠকের রায়ের নিরাপত্তা ডিপোজিটের সব টাকা দেয়া সম্ভব নয়।তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা তেমন ভালো নয়।
উল্লেখ্য যে,গত ২৭ সেপ্টেম্বর আনোয়ারা উপজেলার ১১ নং জুইদন্ডী ইউনিয়নের ৮ নং খুরুসকুল ওয়ার্ডের আব্দুল মোনাফের ছেলে আলমগীর এবং জুঁইদন্ডী গ্রামের মোহাম্মদ হোসেনের মেয়ের বিয়ের প্রীতিভোজের খাবারে চিংড়ি না পেয়ে বরপক্ষ তুলকালাম কাণ্ড ঘটায়।যদিও খাবারের মেন্যুতে গরুর কোরমা,মুরগীর রুস্টসহ সব আইটেমই ছিল।ঘটনার পর ভয়ানক পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশ উপস্থিত হন এবং স্থানীয়ভাবে সমাধান করতে বলেন। ১ অক্টোবর একটি সালিশী বৈঠক হয়।বৈঠকে বটতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মান্নান চৌধুরী এবং বরুমছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।এছাড়াও ছিলেন সেই চিংড়ি বরের বাবা আবদুল মোনাফ, চাচা শের আলী, কনের বাবা মোহাম্মদ হোসেন, নানা আহমদ শফি, আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল ইসলাম, আলমগীর আজাদ, জসিম উদ্দিন, মোহাম্মদ বাবু, বিয়ের মধ্যস্থতাকারী নুরুল ইসলাম।বৈঠকে মেয়ের ভবিষ্যৎ জীবনের নিরাপত্তায় ৪ অক্টোবরের মধ্যে মেয়ের নামে ৩ লাখ টাকার ব্যাংক ডিপোজিট করে ৫ অক্টোবর মেয়েকে শ্বশুর বাড়ীতে উঠিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।এই ঘটনা নিয়ে পুরা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এবং থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।