Search

মঙ্গলবার, ৪ঠা নভেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

মঙ্গলবার, ৪ঠা নভেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ মঙ্গলবার, ৪ঠা নভেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১২ই জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি

সঠিক প্রমাণ নিয়ে সাংবাদিকতা করলে কারও কিছু বলার থাকবে না

সাইবার আইনের কয়েকটি ধারা সাংবাদিকদের বিপদে ফেলতে পারে: বিচারপতি হাসান

এই ধারাগুলোতে অপরাধকে নির্দিষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়নি

হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ বলেছেন, ‘সাইবার নিরাপত্তা আইনের পাঁচটি ধারা সাংবাদিকদের বিপদে ফেলতে পারে। যেমন ২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৮। এই পাঁচটি ধারা যে কোনোভাবেই বিপদে ফেলতে পারে। এই ধারাগুলোতে অপরাধকে নির্দিষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়নি। অনেকে বলে থাকেন এই ধারাগুলোকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার জন্য অস্পষ্ট রাখা হয়েছে।’

সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের দক্ষিণ হলে ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত কর্মশালায় বিচারপতি এসব কথা বলেন। ফোরামের সভাপতি শামীমা আক্তার এতে সভাপতিত্ব করেন। কর্মশালা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান।

বিচারপতি হাসান আরিফ বলেন, ‘(সাইবার নিরাপত্তা আইনের) কয়েকটি ধারা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে সাংবাদিকতায়। সংজ্ঞায়িত না করলে একেক সময় একেক সরকার আসবে একেক ভিউ নিয়ে। মন্ত্রীদের একেকজনের মাইন্ডসেট একেক রকম হবে। কেউ সাংবাদিকবান্ধব হবে, কেউ খুব বেশি সমালোচনা সহ্য করতে পারে না। অনেকের ইনটলারেন্স থাকে প্রচণ্ড। এ ছাড়া, আমাদের পলিটিক্যাল এনভায়রনমেন্টও ইনটলারেন্সের।’

এ সময় আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম বলেন, ‘আদালতের রিপোর্টিংয়ের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আদালত ও আইনজীবীদের কথোপকথন বড় করে না দেখে রায় ও আদেশ দেখতে হবে।’ এ ছাড়া শিশু অপরাধী ও শিশু ভুক্তভোগীর পরিচয় প্রকাশের ক্ষেত্রে আইন মানার ওপর জোর দেন তিনি।

বিচারপতি হাসান আরিফের বক্তব্য প্রসঙ্গে কর্মশালায় অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে সাংবাদিকদের চিন্তার কোনো কারণ নেই। সঠিক প্রমাণ নিয়ে সাংবাদিকতা করলে কারও কিছু বলার থাকবে না।’

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print