রবিবার, ৮ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

রবিবার, ৮ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ রবিবার, ৮ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১১ই জিলহজ ১৪৪৬ হিজরি

বঙ্গবন্ধু শান্তিতে বিশ্বাস করতেন

সংঘাত-অশান্তি চাই না, মানুষের উন্নতি চাই: প্রধানমন্ত্রী

ছাত্রজীবন থেকে জাতির পিতা নির্যাতিত মানুষের পাশে ছিলেন

বঙ্গবন্ধু শান্তিতে বিশ্বাস করতেন। জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেওয়ার সময়ও তিনি শান্তির কথা বলেছিলেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পরিকল্পিতভাবে দেশের উন্নয়ন করা হচ্ছে। আমরা আর অশান্তি, সংঘাত চাই না। আমরা সবার উন্নতি চাই।

রবিবার (২৮ মে) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পদকপ্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সরকার প্রধান বলেন, তৎকালীন শান্তি পরিষদের মহাসচিব বলেছিলেন, শেখ মুজিব কেবল বঙ্গবন্ধু নন, তিনি বিশ্ববন্ধু। মাত্র ৯ মাসে তিনি সংবিধান উপহার দেন। যাতে শান্তির কথা ও দেশের মানুষের মৌলিক অধিকারের কথা ছিল। তিনি পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছিলেন। ছাত্রজীবন থেকে জাতির পিতা নির্যাতিত মানুষের পাশে ছিলেন। সেই ১৯৪৩ সালে দুর্ভিক্ষে ছাত্র শেখ মুজিব মানুষের পাশে ছিলেন। ১৯৪৫ সালে দাঙ্গার সময় নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সবসময় বঙ্গবন্ধু শান্তির পথে ছিলেন, শান্তির কথা বলে গেছেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজমান রয়েছে। মানুষ ভিক্ষা করে নয়, নিজের মর্যাদা নিয়ে চলবে এটাই আমাদের লক্ষ্য। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির ক্ষেত্রে সহায়ক হিসেবে কাজ করে। আমরা দেশকে অর্থনৈতিকভাবে উন্নত করতে চাই। যেখানে দারিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশ ছিল, সেটা আমরা ১৮.৭ ভাগে আনতে সক্ষম হয়েছি। হতদরিদ্র ছিল ২৫.৯ শতাংশ, এটা আমরা ৫.৬ ভাগে আনতে পেরেছি। এ দেশের কোনো মানুষ হতদরিদ্র থাকবে না, ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না, প্রতিটি মানুষ তার মৌলিক অধিকার পাবে।

বাংলাদেশ সারা বিশ্বে শান্তিরক্ষায় অভূতপূর্ব ভূমিকা রেখে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘ শান্তি মিশনে আমরা এখন এক নম্বর দেশ হিসেবে সারা বিশ্বে শান্তি রক্ষা করে যাচ্ছি।’

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print