প্রভাতী ডেস্ক: আজ প্রকাশিত হতে যাচ্ছে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জীবনী নিয়ে লেখা বই ‘বেগম খালেদা জিয়া: হার লাইফ হার স্টোরি। আজ বিকেলে গুলশানের লেকশোর হোটেলে বইটির মোড়ক উন্মোচিত হবে। অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. আসিফ নজরুল, লায়লা এন ইসলাম, নিউজ এজ সম্পাদক নুরুল কবীর, ইকতেদার কবীর, আনোয়ার হাশিম প্রমূখ উপস্থিত থাকবেন। বইটি লিখেছেন সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ।
৭০০ পৃষ্ঠার এই বইয়ে তিনি তুলে এনেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক জীবন ও সংগ্রামের গল্প। গৃহবধূ থেকে প্রধানমন্ত্রী, স্বৈরাচার বিরোধী সংগ্রাম, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদে কারাবাস।এছাড়া শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্ত্রীর জীবনের অনেক অজানা কথা জানা যাবে এ বইয়ে। বইটির লেখক সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ বলেন, বেসিক্যালি এই বইটা করা হয়েছে খালেদা জিয়ার জীবন ও জীবনের গল্প নিয়ে। তার রাজনৈতিক সংগ্রাম তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তার উত্থানের গল্প আছে বইটিতে। এই গ্রন্থে খালেদা জিয়ার ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বের বিষয়ে বলা হয়েছে।
‘বেগম খালেদা জিয়া: হার লাইফ, হার স্টোরি’ বইয়ে সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ ২০০৭ সালের সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শেষ সময় পর্যন্ত তুলে ধরেছেন। ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট দিনাজপুরে জন্ম নেওয়া খালেদা খানম পুতুল কীভাবে সেনা কর্মকর্তা জিয়াউর রহমানের স্ত্রী হলেন, স্বামীর মত্যুর পর গৃহবধূর দায়িত্ব ছেড়ে নেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির গুরু দায়িত্ব এসবের বর্ণনা আছে বইটিতে। ১৯৮১ সালের ৩০ মে এক ব্যর্থ সামরিক অভূত্থ্যানে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শহীদ হন। এরপর প্রায় ৭ মাস পর দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের আহ্বানে ১৯৮২ সালে ৩ জানুয়ারি বিএনপিতে যোগ দেন খালেদা জিয়া। রাজনীতিতে তার আগমন এবং ‘আপসহীন’ নেতৃত্ব, সামরিক এরশাদ সরকার বিরুদ্ধে টানা আট বছরের সংগ্রাম শেষে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার গল্পগুলো তুলে ধরা হয়েছে। ১৯৯১-এর আগে রাজনৈতিক সংগ্রাম, আন্দোলন এবং ২০০৬ সাল পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদে খালেদা জিয়ার জেল জীবন বইটির বড় অংশজুড়ে রয়েছে।
সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ এর আগে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জীবনীগ্রন্থ রচনা করেছেন। ওই বইটির নাম ‘প্রেসিডেন্ট জিয়া অব বাংলাদেশ: এ্যা পলিটিক্যাল বায়োগ্রাফি’।