রবিবার, ১১ই মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

রবিবার, ১১ই মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ রবিবার, ১১ই মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১২ই জিলকদ ১৪৪৬ হিজরি

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন

প্রভাতী ডেস্ক : দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের নাম ঘোষণা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে সিইসি এ তথ্য জানান।

সিইসি বলেন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন নির্বাচিত হয়েছেন। রাষ্ট্রপতি পদে একজনই মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন। মনোনয়ন পত্র বৈধ থাকায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইনের ৭ ধারা অনুযায়ী তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।

সাহাবুদ্দিন ছাত্রজীবনে ১৯৬৬ সালে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ১৯৭৪ সালে পাবনা জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালের ৯ এপ্রিল তিনি ভারতে যান এবং প্রশিক্ষণ নিয়ে পাবনা জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে যুদ্ধ করেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সংঘটিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর তিনি ৩ বছর কারাবরণ করেন। জেল থেকে বের করে তিনি লেখাপড়া শেষ করে যোগ্যতার স্বাক্ষর থেকে বিসিএস জুডিসিয়াল সার্ভিসে যুক্ত হন। কর্মজীবনে তিনি সততা, দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন নিষ্ঠা ও সম্মান নিয়ে।

আওয়ামী লীগের সর্বশেষ জাতীয় পরিষদে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের মৃত্যুতে খালি থাকা প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির চেয়ারম্যান পদে তাকে মনোনীত করা হয়।

মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ১৯৪৯ সালের ১০ ডিসেম্বর পাবনা জেলার সদর উপজেলার শিবরামপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা শরফুদ্দিন আনছারী ও মাতা খায়রুন্নেসা।

১৯৮০ সালে তিনি আইন পেশায় যোগ দেন। ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) ক্যাডারে তিনি মুন্সেফ (সহকারী জজ) পদে যোগ দেন। কর্মের ধারাবাহিকতায় তিনি যথাক্রমে যুগ্ম জেলা জজ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং জেলা ও দায়রা জজ পদে দায়িত্ব পালন করে ২০০৬ সালে অবসরে যান।

বিচারিক কাজের পাশাপাশি তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক হিসেবে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাসহ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের ডেস্ক অফিসার হিসেবে দুই বছর দায়িত্ব পালন করেন। ২০১১ সালের ১৪ মার্চ তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ২০১৬ সালে অবসরে যান।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print