শনিবার, ১২ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শনিবার, ১২ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ শনিবার, ১২ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৬ই মহর্‌রম ১৪৪৭ হিজরি

বাগেরহাটে টিকটকে আপত্তিকর ছবিপোস্ট করায় স্ত্রীকে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ স্বামীর

প্রভাতী ডেস্ক : বাগেরহাটে টিকটক ও লাইকি অ্যাপসে আপত্তিকর ছবি পোস্ট করায় সোমা আক্তার (১৯) নামের এক শিক্ষার্থীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন স্বামী আব্দুল্লাহ আল নাইম ওরফে শান্ত (২৩)। এরপর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন তিনি।

শনিবার(৮ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাগেরহাট শহরে দশানী উত্তরপাড়া এলাকায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। স্ত্রীকে হত্যার পর আব্দুল্লাহ আল নাইম ওরফে শান্ত গভীর রাতে বাগেরহাট মডেল থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।

এদিকে রোববার সোমার লাশের ময়নাতদন্ত বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে সম্পন্ন হয়েছে।

নিহত সোমা আক্তার বাগেরহাট সদর উপজেলার সিংড়াই গ্রামের আব্দুল করিম বকসের মেয়ে। তিনি বাগেরহাট সরকারি পিসি কলেজে ইংরেজী বিভাগে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।

থানায় আত্মসমর্পণকারী আব্দুল্লাহ আল নাইম ওরফে শান্ত দশানী উত্তরপাড়া এলাকার গোলাম মোহাম্মাদের ছেলে। তিনি ঢাকায় একটি বাইয়িং হাউসে কাজ করেন। প্রেমের সম্পর্কে ২০১৯ সালে নাইম ও সোমার বিয়ে হয়েছিল।

আত্মসমর্পণকারী আব্দুল্লাহ আল নাইম ওরফে শান্তর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়,  লাইকি অ্যাপস ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সোমার অ্যাকাউন্ট ছিল। সেসব অ্যাকাউন্টে সোমা আপত্তিকর ছবি পোস্ট করতেন। এসব নিয়ে স্বামী নাইমের সঙ্গে তার ঝামেলা ছিল।

শনিবার ঢাকা থেকে ফিরে সোমাকে ফোন করেন নাইম। বিকাল ৩টার দিকে দশানীস্থ নাইমের বাড়িতে আসে সোমা। সেখানে রাতে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে সোমাকে হত্যা করে নাইম। নাইমের বাবা-মা ঢাকায় থাকায় বাড়িতে শুধু তারা দুজন ছিলেন। সোমা পরকীয়ায় আসক্ত বলেও পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন নাইম।

সোমার ভাই রাসেল বলেন, নাইম বেকার, কিছু করত না। আমার বোনকে খেতে পড়তে দিত না। এসব নিয়ে সংসারে ঝামেলা হতো। এই কারণেও হত্যা করা হতে পারে।

বাগেরহাট মডেল থানার ওসি কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, আমরা লাশ উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। হত্যাকারী আব্দুল্লাহ আল নাইম ওরফে শান্ত আমাদের হেফাজতে রয়েছে। তিনি হত্যার কথা স্বীকার ও কারণ পুলিশকে জানিয়েছে। এরপরও হত্যার সঙ্গে অন্য কোনো বিষয় জড়িত আছে কিনা তা আমরা সে বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print