
চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ থেকে ইসলামী আন্দোলন নেতায় পরিণত হওয়া এক ব্যক্তিকে গ্রেফতারের পর বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে সিএমপির পাঁচলাইশ থানা এলাকা। তিনি হলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র বাকলিয়া থানা শাখার সভাপতি মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। তার গ্রেপ্তারের পর মুক্তির দাবিতে থানার সামনে বিক্ষোভ করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা।
 শনিবার (১ নভেম্বর ) ভোর রাতে পাঁচলাইশ থানার নাসিরাবাদ হাউজিং এলাকা থেকে সালাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দুপুর ১২টা থেকে পাঁচলাইশ থানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন ইসলামী আন্দোলনের শতাধিক নেতাকর্মী।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ৫ই মে পাঁচলাইশ থানায় দায়ের করা একটি মামলায় মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকে আসামি করা হয়। মামলাটি দঃবি ১৪৩/১৮৬/৩০২/ ৩৫৩/৪২৭/৩৪ ও বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪-এর ১৫(৩) ধারায় দায়ের করা হয়েছিল। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তার গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চট্টগ্রাম মহানগরীর সহ সভাপতি আবুল কাশেম মাতব্বর ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে ১০০ থেকে ১৫০ জন নেতাকর্মী থানার সামনে বিক্ষোভ করেন। এসময় তারা বিভিন্ন উস্কানিমূলক স্লোগান দেন।

পরবর্তীতে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ ইসলামী আন্দোলনের নেতাদের সাথে আলোচনা করলে তারা সন্ধ্যা ৬টার দিকে থানা প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন।
চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, একটি মামলায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরপর দলটির নেতারা থানার সামনে বিক্ষোভ করেছেন। গ্রেপ্তার নেতাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।তিনি আরও জানান, সন্ধ্যা ৬টার দিকে আন্দোলনকারীরা থানার সামনে থেকে চলে গেছে।
উল্লেখ্য, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন পূর্বে ফ্যাসিস্ট সরকার আওয়ামী লীগের কর্মী ছিলেন বলে একাধিক প্রমাণ রয়েছে।
স্থানীয়রা মনে করছেন, তার রাজনৈতিক অতীত ও চলমান মামলার প্রেক্ষিতে গ্রেপ্তার স্বাভাবিক হলেও ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা বিষয়টিকে ইস্যু বানিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে।
অপরদিকে ইসলামি আন্দোলনের নেতাদের দাবী মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন একজন ব্যবসায়ী। তাই বিভিন্ন সময় ব্যবসায়িক কাজে আওয়ামী লীগের নেতাদের সাক্ষাৎ করার সময় অনেকটা বাধ্য হয়ে ছবি তুলেছেন। আওয়ামী লীগে তার কোন পদ-পদবী নেই এবং ছিলো না।
				
													
											








