Search

শনিবার, ৬ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শনিবার, ৬ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ শনিবার, ৬ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৩ই রবিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি

ডোবায় লাশ যেন দেখা না যায় সেজন্য খড় দিয়ে প্রতিদিন লাশ ঢেকে দিয়ে আসত রুবেল

চট্টগ্রামে বিড়াল কিনে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে শিশুকে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা

কাজিরদীঘি এলাকার একটি পরিত্যক্ত ভবনের ৪ তলায় নিয়ে ধর্ষণ করে শ্বাসরোধে হত্যা

নিখোঁজের ৭দিন পর শিশু আবিদা সুলতানা আয়নী ওরফে আঁখি মনির (১০) লাশ উদ্ধার করেছে পিবিআই। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পাহাড়তলীর ওয়ারর্লেস এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

এর আগে ২১ মার্চ ওই শিশু নগরীর পাহাড়তলী থেকে নিখোঁজ হয়। পরে শিশু আয়নী অপহরণের শিকার জানিয়ে স্থানীয় সবজি বিক্রেতা রুবেলের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) আদালতে মামলা করেছেন তার মা। আদালত অভিযোগ শুনে মামলাটি সরাসরি এফআইআর হিসেবে গণ্য করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আদেশ দিয়েছেন।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন আগে ভুক্তভোগী শিশু তার মাকে বলেছিলো, স্কুলের এক বান্ধবী বিড়াল ছানা কিনেছে। ওই সময় সে মাকে অনুরোধ করে, তাকেও একটি বিড়াল ছানা কিনে দেওয়ার। মা তাকে বেতন পেলে কিনে দেবে বলে আশ্বাস দেয়। সে তখন মাকে বলে রাস্তার তরকারি বিক্রেতা আছে, যে তাকে বিড়াল ছানা এনে দেবে। এরপর মা তাকে তার কাছে যেতে বারণ করে। এ ঘটনার কয়েকদিন পর গত ২১ মার্চ ভুক্তভোগী শিশু স্কুলে গিয়ে আর ফিরে আসেন নি। পরে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে ঘটনার দিন এবং তার আগের দিন ভুক্তভোগীকে মামলার অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় বলে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

শিশু আয়নী পাহাড়তলী এলাকার আব্দুল হাদি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। পাহাড়তলীর আব্দুর কাজীর দীঘির পাড় এলাকায় তাদের বাসা।

শিশুটির মা মোছাম্মৎ বিবি ফাতেমা (২৬) পোশাক কারখানার কর্মী। শিশুটির বাবাও ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন।

পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি অবগত হওয়ার পর থেকে রুবেলকে নজরদারিতে রাখা হয়। কিছু তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহের পর মঙ্গলবার রাতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়।

নাইমা সুলতানা বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে রুবেল স্বীকার করে, মেয়েটিকে ২১ মার্চ সে (রুবেল) কাজিরদীঘি এলাকায় একটি পরিত্যক্ত ভবনের চারতলায় নিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ বস্তায় ভরে ডোবায় ফেলে দেয়। এরপর থেকে ডোবায় প্রতিদিনই লাশটি দেখতে যেত। ডোবায় লাশ থাকার বিষয়টি কেউ যেন বুঝতে না পারেন, সেজন্য খড় দিয়ে প্রতিদিন লাশ ঢেকে দিয়ে আসত রুবেল।’

মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print