Search

বৃহস্পতিবার, ১৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বৃহস্পতিবার, ১৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ বৃহস্পতিবার, ১৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৫শে রবিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি

স্ত্রী হত্যার দায়ে বাবুল আক্তার ৫ দিনের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামে চাঞ্চল্যকর মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকাণ্ডে দায়ের হওয়া নতুন মামলায় নিহতের স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে তাকে ৫ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার জাহানের আদালত এ আদেশ দেন।

বুধবার (১২ই মে) দুপুরে বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের বিরুদ্ধে বন্দরনগরীর পাঁচলাইশ থানায় নতুন মামলাটি দায়ে করেন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন।

আদালতে বাবুল আক্তারের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আরিফুর রহমান। দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন এবং আগামী ১০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।

এর আগে দুপুর ২ টা ৪৫ মিনিটের দিকে পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারকে কঠোর নিরাপত্তায় আদালতে হাজির করে পুলিশ। শুনানী শেষে ৩ টা ১০ মিনিটে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

এদিকে, মিতু হত্যার ঘটনায় বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলার চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছে চট্টগ্রাম পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে। পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা গনমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা বলেন, মঙ্গলবার মিতু হত্যা মামলার বাদী বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পিবিআইতে ডাকা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদে পিবিআই স্ত্রী হত্যায় বাবুলের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে তদন্তকারী দল। তাই তাকে পিবিআই হেফাজতে রাখা হয়েছে। মামলার তদন্তের বিষয়ে তার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে তৎকালীন পুলিশ সুপার ও মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমের জন্য স্ত্রীকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে মামলায় অভিযোগ করেন তিনি। তবে দিন যত গড়িয়েছে মামলার গতিপথও পাল্টেছে। এক পর্যায়ে সন্দেহের কেন্দ্রবিন্দুতে আসে স্বামী বাবুল আক্তারের নাম।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print