রবিবার, ১৩ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

রবিবার, ১৩ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ রবিবার, ১৩ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৭ই মহর্‌রম ১৪৪৭ হিজরি

মসজিদে নামাজ আদায়ে মানতে হবে ১০ নির্দেশনা, আয়োজন করা যাবে না সেহরী ও ইফতারের

প্রভাতী ডেস্ক: দেশে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদে নামাজ আদায়ে ১০ দফা নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।

সোমবার (৫ এপ্রিল) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব সাখাওয়াত হোসেনের সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১০ দফা নির্দেশনা মানা না হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

বিজ্ঞপ্তিতে যেসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে-

১. মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে এবং আগত মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।

২. প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওযু করে, সুন্নত নামাজ ঘরে আদায় করে মসজিদে আসতে হবে। ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।

৩. মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিস্কার করতে হবে। মুসল্লিদের প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে।

৪. কাতারে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।

৫. শিশু, বয়স্ক, যে কোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি মসজিদে জামায়াতে অংশ নিতে পারবে না।

৬. সংক্রমণ রোধ নিশ্চিত করতে মসজিদের ওযুখানায় সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।

৭. সবার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।

৮. মসজিদে ইফতার ও সেহরির আয়োজন করা যাবে না।

৯. করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পেতে নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে খতিব ও ইমামগণ দোয়া করবেন।

১০. খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন।

প্রাণঘাতি করোনা সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print