Search

শুক্রবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শুক্রবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ শুক্রবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৬শে রবিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি

রিসোর্টে মামুনুল হকের সঙ্গে থাকা সেই নারীর বড় ছেলের বক্তব্য

প্রভাতী ডেস্ক : শনিবার (৩রা এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জের রিসোর্টে নারীসহ অবরুদ্ধ হয়েছিলেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সেক্রেটারি মাওলানা মামুনুল হক। তবে হেফাজতের এই নেতার দাবি, ওই নারী তার স্ত্রী। এরই মধ্যে আলোচিত এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন ওই নারীর ছেলে।

মামুনুলকে নিয়ে ওই ছেলের করা মন্তব্যের তিন মিনিট দুই সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে তিনি মামুনুল হক সম্পর্কে ক্ষোভ প্রকাশ করে।

ওই ছেলে বলেন, ‘আপনারা কারো অন্ধ ভক্ত হইয়েন না। কাউকে অন্ধভাবে বিশ্বাস কইরেন না। কারণ সবারই আড়ালে আরেকটা চেহারা থাকে। এই লোকটা আলেম নামধারী মুখোশধারী একটা জানোয়ার। তার মধ্যে কোন মনুষ্যত্ব নেই। সে সুযোগের অপেক্ষায় থাকে কাকে কীভাবে দুর্বল করা যায়।’

তিনি ভিডিওতে আরো বলেন, ‘আমি তো অলরেডি বড় হয়ে গেছি, অনেক কিছু শিখছি, জানছি। আমি কিছুটা সহ্য করে নিতে পারি। কিন্তু আমার তো একটা ছোট ভাই আছে ১৩-১৪ বছরের। এই সময়ে মানুষের কত কথা শোনা লাগতেছে। সমাজের সামনে আইসা মুখ দেখাইতে পারতেছি না। আমার ছোট ভাইটা কাল রাতে যখন এই ঘটনা ঘটলো, সে কোনোদিন আমি দেখি নাই রাত ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত জাইগা রইছে। কাল দেখি ওর চোখে ঘুমই নাই। সে বিষয়টা নিয়ে মেন্টালি শকড হইছে। ও বাসা থেকে বের হয়ে গেছিল। বাসায় থাকলে কি উল্টা-পাল্টা করব আমি নিজেও জানি না, এইটা বইলা বের হয়ে গেছে।’

‘আরো বলতে হয়, এটা আমি বলব যে, আমার বাবার কর্মের ফল। আমার বাবা মানুষকে অন্ধের মতো বিশ্বাস করে। পাগলের মতো ভালোবাসে। ওই লোকটার (মামুনুল হক), কিছু দিন আগে মোল্লারহাটে একটা মাহফিল ছিল। সেখানে পুলিশ তাকে মাহফিল করতে দেবে না। সে একটা জায়গায় লুকায়া ছিল। আমার বাবা সেটা দেখে আইসা কীভাবে যে কাদছে। তার আগেই বিষয়টা আমি জানছি যে, আমার মায়ের সঙ্গে তার একটা সম্পর্ক ছিল।’

‘আমি তখন হাসতেছিলাম যে, এই লোকটা যার জন্য কানতেছে আর ওই লোকটা (মামুনুল হক) এই লোকটার (বাবা,শহীদুল ইসলাম) সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতেছে। তারপর যখন বাবাকে এবং ওনাকে (মাওলানা মামুনুল হক) জেলে নিল, তখন আমার বাবা থানার ওসিকে বলে যে, আমাকে রেখে ওনাকে ছেড়ে দেন। কতটা ভালোবাসলে একটা মানুষকে এই কথা বলতে পারে। আর সেই লোকটা কীভাবে গাদ্দারি করল।’

ওই নারীর ছেলে আরো কিছু অভিযোগ করেন মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে। এদিকে হেফাজতের নেতারা আজ জরুরি বৈঠক করে। পরে তারা দাবি করে ‘মামুনুলের বিবাহ শুদ্ধ’।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print