ইস্কান্দার বাবু: সাত দফা দাবি আদায় না করে ঘরে ফিরবেন না জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন অনতিবিলম্বে দাবী মেনে নিতে হবে।জনগণ জেগে ওঠেছে,পালানোর পথ পাবেন না। অবৈধ সরকারের ভয়ের কারণ হলো, তারা জানেন যে, যদি ভোট দেওয়ার সুযোগ হলে তাদের ভাঙা নৌকায় জনগণ আর উঠবে না।’
শনিবার ২৭ অক্টোবর বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর নাসিমন ভবনে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার ভয় পেয়েছে। সভা করতে দেয় না। রাস্তার অর্ধেক দিয়েছে। লালদীঘি মাঠে অনুমতি দেওয়া হয়নি। জনগণকে বাধা দিয়ে বিশ্বের কোনো সরকার ঠিকে থাকতে পারেনি।বাংলাদেশের অবৈধ সরকারও পারবে না।বন্দুকের নল ক্ষমতার উৎস নয়। এখন নতুন লড়াই শুরু হয়েছে। অধিকার ফিরিয়ে আনার লড়াই। গত ১০ বছরে আমাদের দলের অনেক নেতাকর্মীকে হারিয়েছি। অনেক মা-বাবা তাদের সন্তান হারিয়েছে। হাজার হাজার মানুষ কারাগারে বন্দি।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা কারো কাছে মাথা নত করব না, পরাজিত হব না। জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে লড়াই চলছে।’
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম বার আউলিয়ার শহর । এখানে সব বিপ্লবীদের জন্ম। এখান থেকেই সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভাঙ্গা হয়েছে।এইবারও চট্টগ্রাম থেকে আন্দোলনের সুচনা করতে হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন। সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, মঈন খান, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল নোমান,নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম,ডাকসুর সাবেক ভিপি ও ঐক্যফ্রন্টের নেতা সুলতান মো. মনসুর প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ২৪ অক্টোবর সিলেটের সমাবেশ হওয়ার পর চট্টগ্রামে এটি ঐক্যফ্রন্টের দ্বিতীয় সমাবেশ।