Search

বুধবার, ২০শে আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বুধবার, ২০শে আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ বুধবার, ২০শে আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৫শে সফর ১৪৪৭ হিজরি

চাঁদাবাজির লাগাম টানতে শুরু হয়েছে ‌‘সাঁড়াশি অভিযান’

দেশজুড়ে সাঁড়াশি অভিযান: চাঁদাবাজ ধরলেই ‘ডিটেনশন অর্ডার’, ৭ দিনেই তদন্ত

এক মাসের মধ্যেই মামলার রায় দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে

ছাত্র-জনতার রক্ত-স্রোতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হলেও গত দশ মাসে বাংলাদেশে সহিংসতা ও চাঁদাবাজির কারণে জনজীবন অস্থির হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক কোন্দল, ক্ষমতা দখলের লড়াই এবং সংঘর্ষে একের পর এক প্রাণহানিও ঘটছে। এতে আলোচনা—সমালোচনার পাশাপাশি বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

এ অবস্থা থেকে উত্তোরণের জন্য চাঁদাবাজির লাগাম টানতে শুরু হয়েছে ‌‘সাঁড়াশি অভিযান’। মঙ্গলবার রাত থেকে এই অভিযান শুরু হয়। এর আগে পুলিশ সদর দপ্তরের এক জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। খবর পুলিশ সদর দপ্তরের একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রের।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, হাতেনাতে কোনো চাঁদাবাজ ধরা পড়লেই তাকে ডিটেনশন অর্ডার (আটকাদেশ) দেওয়া হবে। হাটে-মাঠে-ঘাটে, বাস, ট্রাক, টেম্পু স্ট্যান্ড, রেল-নৌ-বাস টার্মিনাল, ফুটপাতসহ যেখানেই চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটবে সেখানেই সাঁড়াশি অভিযান চালাবে পুলিশ-র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। জড়িতদের সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দেবে। মামলার তদন্ত শেষ করতে হবে এক সপ্তাহের মধ্যেই। এরপর এক মাসের মধ্যেই মামলার রায় দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

পুলিশ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা জানান, চাঁদাবাজদের ধরতে পুলিশের সব ইউনিটকে বিশেষ নিদর্শনা দেওয়া হয়েছে। যে দলেরই হোক কাউকে ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। ধরার পড়ে কোনো তদবিরেও ছাড়া হবে না চাঁদাবাজদের।

এছাড়াও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কঠোর মধ্যে নির্দেশনা দিয়েছেন। থানার ওসি থেকে শুরু করে ডিসি, এডিসি এবং এসিকে মনিটরিং করতে বলেছেন। এছাড়া ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সদস্যদের বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন চাঁদাবাজদের ধরার বিষয়ে।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, পুলিশ সদর দপ্তর থেকে বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধানের কাছে গত ১৬ অক্টোবর একটি জরুরি পত্র পাঠিয়ে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সম্পর্কে প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়। এই চিঠি পাওয়ার পর পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে ৭২টি ইউনিটের কাছে তালিকা চেয়ে গোপনীয় পত্র পাঠানো হয়। ওই ইউনিটগুলোকে ২০ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print