Search

শনিবার, ১৩ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শনিবার, ১৩ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ শনিবার, ১৩ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২০শে রবিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি

ঘরে বসেই করোনা প্রতিরোধে ডা. বিজন শীলের ৬ পরামর্শ

প্রভাতী ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত সারা বিশ্ব। এই ভাইরাসের তাণ্ডবে দিশেহারা বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও দুটি আন্তর্জাতিক অঞ্চল। এসব দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত (শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টা) আক্রান্ত হয়েছে ৫১ লাখ ৯৪ হাজার ২১০ জন। প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৬২১ জনের।

এদিকে, এই ভাইরাস শনাক্তের কিট উদ্ভাবন করে দেশজুড়ে ব্যাপক পরিচিত ও জনপ্রিয়তা লাভ করেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. বিজন কুমার শীল।

যদিও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আগে থেকেই তার খ্যাতি রয়েছে। তবে সম্প্রতি দ্রুত সময়ে করোনাভাইরাস শনাক্তের কিট আবিষ্কার করে তিনি আরো পরিচিতি পান।

সম্প্রতি একটি দৈনিকের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সেই ডা. বিজন শীল উল্লেখ করেছেন ঘরে বসেই করোনাভাইরাস প্রতিরোধের কিছু উপায়।

সেগুলো তার ভাষায় সরাসরি উল্লেখ করা হল-

**করোনাভাইরাস সারা পৃথিবীর মতো বাংলাদেশেও ছড়িয়ে পড়ছে। আমাদের সবাইকে এর মুখোমুখি হতে হবে। আতঙ্কিত হওয়া যাবে না। এটা ভাবার কোনো কারণ নেই যে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া মানেই মারা যাওয়া।

**এখন পর্যন্ত বোঝা যাচ্ছে, বাংলাদেশে যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হচ্ছে, তার ক্ষতিকর দিকটি বেশ দুর্বল। আক্রান্তের পর আপনি যদি আতঙ্কিত হয়ে নার্ভাস না হন, ভাইরাস আপনার তেমন ক্ষতি করতে পারবে না।

**যদি একটু খারাপ লাগতে থাকে, জ্বর জ্বর বা অল্প কাশি অনুভূত হয়, তবে দিনে ৩/৪বার হালকা রং চায়ে গোলমরিচ, লং দিয়ে খাবেন এবং তা দিয়ে ৩/৪ বার গার্গল করবেন। এতে ভাইরাস ফুসফুসে ঢোকা ঠেকানো যাবে। আর ভিটামিন-সি এর কোনো বিকল্প নেই। এখন বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষের সকালে ২৫০ রাতে ২৫০ মোট ৫০০ এমজি ভিটামিন সি খাওয়া দরকার। করোনাভাইরাস প্রতিরোধের জন্য এটা অত্যন্ত জরুরি। ভিটামিন সি’
এর দাম বেশি না। আমলকিসহ এ জাতীয় যা এখন পাওয়া যায়, সেগুলো খেতে হবে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র একটি ভিটামিন সি জিঙ্ক তৈরি করছে। এটা খুবই ভালো। জিঙ্ক ট্যাবলেটও এক্ষেত্রে উপকারী।

**সব মানুষের আরেকটি বিষয় গুরুত্ব দিয়ে মনে রাখা দরকার, থুথু যেখানে সেখানে ফেলা যাবে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনো কেন থুথুর বিষয়ে বলছে না, বুঝতে পারছি না। হাঁচি বা কাশির চেয়ে থুথু অনেক বেশি বিপদের কারণ হতে পারে। থুথু শুকিয়ে ডাস্টে পরিণত হয়ে ভাইরাস অনেক দিন টিকে থাকতে পারে। থুথু বা কফ থেকে পানির মাধ্যমে ভয়াবহভাবে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। এ ক্ষেত্রে সবার সতর্ক হওয়া দরকার। কোনো আক্রান্ত রোগীর প্রস্রাব বা পায়খানা যদি পানির লাইনে সংমিশ্রণ ঘটে যায়, সেটাও হতে পারে বড় বিপদের কারণ।

**সাবান দিয়ে বারবার হাত ধুতে হবে। আর সাধারণ সবজি-ফল পরিষ্কার পানি দিয়ে দুইবার ধুয়ে নিলেই চলবে।

**সতর্ক থাকতে হবে। কোনো কিছু নিয়ে আতঙ্কিত হওয়া যাবে না। আতঙ্কিত হলে মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ’

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print