শনিবার, ৭ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শনিবার, ৭ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ শনিবার, ৭ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১০ই জিলহজ ১৪৪৬ হিজরি

এক নামে অর্ধশতাধিক নগদ অ্যাকাউন্টের বিষয়ে যা বললেন ড.সেলিম !

প্রভাতী ডেস্ক: একই মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া সহায়তায় অর্ধশতাধিক অ্যাকাউন্ট থাকার অভিযোগ খণ্ডন করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ। শনিবার(১৬ই মে) রাত সোয়া ৮টার দিকে তিনি ওই স্ট্যাটাস দেন।

স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-

আজ সোশ্যাল মিডিয়াতে কিছু ওয়েবলিংক দেখলাম যেখানে দেখা যায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাসের কারণে সারা দেশের ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ পরিবারকে এককালীন আড়াই হাজার টাকা করে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যে অর্থ পাঠিয়েছেন, কয়েকটি জেলায় প্রায় ৫০/৬০টি কিংবা তারও অধিক অ্যাকাউন্টে একই মোবাইল নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে কেউ কেউ এটিকে দুর্নীতি হিসেবে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হিসেবে বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে আমি প্রথমে সরকারের ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তারা আমাকে জানান যে, আমাদের অনলাইন সিস্টেমেই এই অসঙ্গতিগুলো ধরা পড়েছে। আর ওই সব অসঙ্গতিপূর্ণ অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা যায়নি।

তারা আরো জানান, এসব অসঙ্গতি দূর করে নতুনভাবে তালিকা প্রেরণের জন্য ইতিমধ্যে ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে মাঠপ্রশাসনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এই কর্মসূচিটি যেহেতু মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একান্ত উদ্যোগে নেয়া হয়েছে, তাই বিষয়টি নিয়ে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব জনাব ড۔ আহমদ কায়কাউসের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলি। তিনি আমাকে বিষয়টি অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করেন।

তিনি জানান, এই ডিজিটাল কর্মসূচিতে একজনের নামে বা একজনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে অন্য কেউ অর্থ নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। কেউ যদি বলে থাকে যে, কারো কারো মোবাইল ফোন নেই, তাই অন্য কারো মোবাইল নম্বর দেয়া হচ্ছে, আমাদের সিস্টেমে এটি গ্রহণ করার কোনো সুযোগ নেই। সিস্টেম এটি গ্রহণ করবে না। শুধু মোবাইল নম্বর থাকলেই হবে না, তার সঙ্গে ভোটার আইডি কার্ড নাম্বারও থাকতে হবে। প্রতিটি ব্যক্তির মোবাইল ফোন নম্বর আর ভোটার আইডি নাম্বার ভেরিফাই করে টাকা ছাড় করানো হবে। তাছাড়া, যে ব্যক্তিকে টাকাটা পাঠানো হবে, সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী তিনি এটি প্রাপ্য কিনা সেটিও সিস্টেম দেখবে। বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় সব পরিবারেই ন্যূনতম একটা মোবাইল ফোন রয়েছে। তাই মোবাইল নম্বর নেই- এই অজুহাতে অন্য কারো নাম্বারে টাকা গ্রহণ করা বা পাঠানোর কোনো সুযোগ নেই। অর্থাৎ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই কর্মসূচিতে দুর্নীতি করার কোনো সুযোগ নেই। যারাই দুর্নীতি করার চেষ্টা করবেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দেশে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রয়েছেন চার হাজার ৫৭১ জন, ইউপি সদস্য রয়েছেন ৪১ হাজার ১৩৯ জন আর নারী সদস্য আছেন ১৩ হাজার ৭১৩ জন। এর মধ্যে ৪/৫ জন এই অসঙ্গতিপূর্ণ বা অন্যায় কাজটি করেছেন। সরকারের সংশ্লিষ্ট এজেন্সীগুলো এই বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন। আর এই কয়েকটি অসঙ্গতি বা অনিয়ম সরকারের সিস্টেমেই ধরা পড়েছে। সরকারই এটি উদঘাটন করেছেl

বাংলাদশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো সরকার প্রধান ৫০ লক্ষ পরিবারকে নগদ অর্থে আড়াই হাজার টাকা করে ঈদ উপহার হিসেবে ১২৫০ কোটি টাকা দিয়েছেন। এটি একটি ইতিহাস। প্রতি পরিবারে ন্যূনতম চারজন সদস্য ধরলে দেশে মোট উপকার ভোগী মানুষের সংখ্যা দুই কোটি। আর প্রতি পরিবারে সদস্য পাঁচজন ধরলে মোট উপকার ভোগী মানুষের সংখ্যা আড়াই কোটি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার এই নগদ সহায়তা পেয়ে খুশি তৃণমূলের সাধারণ মানুষ।

রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার এই মানবিক উদ্যোগে ঈর্ষান্বিত হয়ে সরকার বিরোধী কিছু লোক সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচারে নেমেছে। তাদের সব তথ্য সন্ত্রাস নির্মূল করার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print