নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় গত ১২ ঘণ্টায় ৭০টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। করোনা শনাক্ত হওয়া রোগী থাকায় বুধবার গভীর রাত থেকে বৃহস্পতিবার (১৪ মে) সকাল পর্যন্ত এসব বাড়ি লকডাউন করে নগর পুলিশের বিশেষ শাখা।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (সিটি এসবি) আবদুল ওয়ারিশ জানান, বুধবার রাতে চট্টগ্রাম নগরীতে সর্বোচ্চ ৭২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এসব রোগীর অবস্থানকারী ভাড়া ও মালিকানাধীন নিজস্ব বাসার ৭০টি বাড়ি পুরোপুরি লকডাউন করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ এবং ওইসব বাড়ির বাসিন্দাদের নিরাপদ রাখতেই বাড়ি লকডাউন রেখেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। লকডাউন করা বাড়িতে কেউ প্রবেশ করতে কিংবা বের হতে পারবেন না। যে কোনো প্রয়োজনে পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সহায়তা নিতে পারবেন বাড়িতে অবস্থানকারীরা।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগরীতে প্রায় ৫ শতাধিক বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে বলে জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল ওয়ারিশ জানান, ১৪দিন পর্যন্ত বাড়িগুলো লকডাউন থাকবে। তবে ইতোমধ্যে অনেক বাড়ির লকডাউনের সময়সীমা অতিক্রম হওয়ায় বাড়িগুলোর লকডাউন তুলে নেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগরী ও জেলায় বুধবার রাতে স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিবেদনে সর্বোচ্চ ৯৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এদের মধ্যে মহানগরীতে রয়েছে ৭২ জন। এছাড়া উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া এক কাউন্সিলর প্রার্থীর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া গেছে মৃত্যুর পর। বুধবার সকালে হোসেন মুরাদ (৫০) নামের আওয়ামী লীগ মনোনীত ওই কাউন্সিলর প্রার্থী মারা যান।