Search

রবিবার, ২৬শে অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

রবিবার, ২৬শে অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ রবিবার, ২৬শে অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৩রা জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি

তিনি ডিএমপি ধানমন্ডি ট্রাফিক ডিভিশনে কর্মরত

রাস্তায় কাঁদতে থাকা শিশুকে বাসায় নিয়ে ‘ধর্ষণ’, ট্রাফিক কনস্টেবল কারাগারে

কলাবাগানে একটি বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করত শিশুটি

ঢাকার কলাবাগানে পুলিশ বক্সের সামনে কাঁদতে থাকা এক শিশুকে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় নিজ বাসায় নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে উঠেছে একজন ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করেছে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানা-পুলিশ।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলার পর তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী।

কারাগারে যাওয়া মো. রুহুল আমিন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ধানমন্ডি ট্রাফিক ডিভিশনে কর্মরত ছিলেন। ৪১ বছর বয়সি রুহুল মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ির শেখ সাদির ছেলে। তিনি বন্দর উপজেলার রূপালী আবাসিক এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন।

ওসি লিয়াকত আলী বলেন, গত সোমবার সন্ধ্যায় শহরের চাষাঢ়া থেকে ওই কনস্টেবল আটক হন। তার সঙ্গে শিশুটিও ছিল। পরে রাত ১টার দিকে তাকে সদর মডেল থানা থেকে বন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়।ভুক্তভোগী ১২ বছরের মেয়েটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, শিশুটির বাড়ি মাদারীপুর জেলায়। সে ঢাকার কলাবাগানে একটি বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করত। সকালে শিশুটির চাচা ধর্ষণের অভিযোগে বন্দর থানায় মামলা করেছেন।

মামলা ও প্রাথমিক তদন্তের বরাতে ওসি লিয়াকত বলেন, ‘সোমবার দুপুরে কলাবাগান পুলিশ বক্সের সামনে কান্না করছিল শিশুটি। এ সময় পুলিশ বক্সে দায়িত্বরত ছিলেন কনস্টেবল রুহুল আমিন। তিনি শিশুটিকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে নিজ বাসায় নিয়ে যান। সেখানে শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়।

পরে শিশুটিকে নিয়ে আবার ঢাকার দিকে ফিরছিলেন তিনি। পথে চাষাঢ়ায় শিশুটি কান্নাকাটি করলে লোকজনের সন্দেহ হয় এবং থানায় খবর দেয়।’

ওই পুলিশ কনস্টেবলকে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print