বুধবার, ১৯শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বুধবার, ১৯শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ বুধবার, ১৯শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে শাবান ১৪৪৬ হিজরি

কাউন্সিলর ডিউকের তত্ত্বাবধানে করোনা টেস্টের জন্য পাঠানো হলো বাকলিয়ার সেই পরিবারকে

আরমানের পরিবারের সদস্যদের নমুনা সংগ্রহে পাঠাচ্ছেন কাউন্সিলর ডিউক

এম. জিয়াউল হক: চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ১৭ নং ওয়ার্ডের চান্দাপুকুর পাড় এলাকার খোরশেদ আলম আবাসিকের করোনা সন্দিহান সেই পরিবারকে (অর্থাৎ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী আরমানের পরিবার) করোনা টেস্টের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণের জন্য সার্বিক সহযোগিতা করলেন ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর একেএম আরিফুল ইসলাম ডিউক। আজ রবিবার (১০ই মে) সকাল ১০টার সময় এ্যাম্বুলেন্সযোগে তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়।

আরমানের পরিবারে খাদ্য সামগ্রী দিচ্ছেন কাউন্সিলর ডিউক

জানা যায়, গত রবিবার (৩রা মে) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হন আহমেদ আরমান(৫৫)। ঐদিন বিআইটিআইডি থেকে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সোমবার (৪ঠা মে) ভোরে তিনি মৃত্যু বরণ করেন। ঐদিন বিকালে তার মরদেহ পটিয়ার গ্রামের বাড়ীর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। বিকেল ৫:৩০টার দিকে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে আরমানের পরিবারকে জানানো আরমানের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। দাফন সম্পন্ন হওয়ার পরে পরিবারের সকল সদস্যরা বাসায় ফিরে আসেন। ওই রাতেই স্থানীয় কাউন্সিলর ও পুলিশ প্রশাসন তাদের বাসা লকডাউন করে, গেটে তালা লাগিয়ে দেন।

পরবর্তীতে আরমানের ১৪ মাসের এক নাতিসহ পরিবারের ৬ সদস্যের শরীরে জ্বর-সর্দিসহ করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করলে আরমানের ছেলে আবিদ বিষয়টি প্রশাসন এবং কাউন্সিলর ডিউককে জানায়। তখন কাউন্সিলর স্থানীয় প্রশাসন এবং সিভিল সার্জনের সমন্বয়ে তাদের নমুনা পরীক্ষার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

এই ব্যাপারে কাউন্সিলর একেএম আরিফুল ইসলাম ডিউক বলেন, লকডাউন করার পর আমি নিজেই উক্ত পরিবারে পর্যাপ্ত খাদ্য সামগ্রী দিয়েছি এবং খোঁজ খবর নিয়েছি। পরে মৃত আরমান সাহেবের ছেলে আবিদ জানায় তাদের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। তখনই আমি সিভিল সার্জনের সাথে যোগাযোগ করে তাদের নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করি। তাদেরকে নমুনা সংগ্রহ করতে পাঠানোর প্রক্রিয়ায় যেই একটা সময়ের দরকার হয় সেই সময়টাকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কিছু লোক গুজব ছড়িয়ে দেয় যে, আমি এই পরিবারটির কোন খোঁজ খবর নিচ্ছি না। এটা নিয়ে গতকাল কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রতিবেদনও প্রকাশ করা হয়েছে। উক্ত প্রতিবেদনে প্রশাসনের অবহেলার কথাও বলা হয়। কিন্তু আরমান সাহেবের ছেলে আবিদ আমার এবং প্রশাসনের আন্তরিকতার জন্য ফেসবুকে একটি পোস্টও দিয়েছেন। আমি সাংবাদিকদের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি আরো একটু যত্নশীল হয়ে সংবাদ প্রকাশের জন্য। শুধু এই পরিবারই নয়, আমার এলাকায় আরো যেই ২টি পরিবার লকডাউন করা হয়েছে প্রতিনিয়ত তাঁদেরও খোঁজ খবর নিচ্ছি। আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করি আরমান সাহেবের পরিবারের সকল সদস্যের যেন করোনা ভাইরাস নেগেটিভ আসে। সবশেষে আমি বলবো, সবাই নিরাপদে বাসায় থেকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সহযোগিতা করুন।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print