
প্রভাতী ডেস্ক : অবশেষে উপবৃত্তির টাকা পেতে যাচ্ছে প্রাথমিকের প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থী। করোনাভাইরাসের সংকটের কারণে ঈদের আগেই পরপর ৯ মাসের টাকা পাবে শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে প্রথমবারের মতো প্রাথমিকের প্রত্যেক শিক্ষার্থী জামা, জুতা ও ব্যাগ কেনার জন্য ১ হাজার টাকা পাবে। এ সংক্রান্ত প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হয়েছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদনও দিয়েছেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রদান’ প্রকল্প থেকে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে ৫ মে এ বিষয়ে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, প্রকল্পের মেয়াদ গত জানুয়ারি থেকে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত চলমান থাকবে। একই সঙ্গে গত অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের উপবৃত্তির টাকা অতিসত্বর দেওয়া হবে। এ ছাড়া করোনাকালীন জানুয়ারি থেকে জুনের (দুই কিস্তি) উপবৃত্তি একসঙ্গে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রকল্পের নতুন সংশোধনীতে প্রধানমন্ত্রী প্রতি শিক্ষার্থীকে জামা, জুতা ও ব্যাগ কেনার জন্য ১ হাজার করে ‘অ্যালাউন্স’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এ বিষয়ে ১৪ই মে এর মধ্যে তথ্য দিতে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে। অন্যথায় তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রাথমিক শিক্ষার বিস্তার ও মান উন্নয়নে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দেয় সরকার। এই উপবৃত্তির ফলে প্রাথমিকে ভর্তি বেড়েছে, কমেছে ঝরে পড়া। কিন্তু জটিলতার কারণে গত বছরের অক্টোবর থেকে এই টাকা পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে প্রকল্পের মেয়াদ গত ডিসেম্বরে শেষ হওয়ায় জটিলতা আরও বাড়ে। করোনার এই সংকটের সময় টাকা পেলে উপকার হতো বলে অভিভাবকদের দাবী ছিল ।
সরকারের অনুমোদন পাওয়ায় এখন আগামী কিছুদিনের মধ্যে গত অক্টোবর -ডিসেম্বরের কিস্তির উপবৃত্তির টাকা দেওয়া হবে। আর জানুয়ারি থেকে জুনের টাকা ঈদের আগেই দেওয়া হবে। একই সঙ্গে জামা, জুতা ও ব্যাগ কেনার টাকাও দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, প্রতি তিন মাস পরপর বছরে চার কিস্তিতে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা দেওয়া হয়। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এই টাকা দেওয়া হয় শিক্ষার্থীর মায়েদের কাছে।
শিওরক্যাশের মাধ্যমে বিতরণ হলেও অনেক অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি শিওরক্যাশের দুই শতাধিক কর্মী ছাঁটাই হওয়ায় সময়মতো উপবৃত্তি বিতরণ হওয়া অসম্ভব হবে বলে মনে করছেন শিক্ষকরা। তাই তারা বিকাশের মাধ্যমে বিতরণের পরামর্শ দেন।