এম. জিয়াউল হক: সারা বিশ্বের মত করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে বাংলাদেশেও লকডাউন পরিস্থিতি বিরাজমান। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন দিনমজুর ও বিভিন্ন শ্রমজীবী মানুষ। এসব কর্মহীন মানুষ যাতে অনাহারে/ অর্ধাহারে কষ্ট না পায় সেজন্য সরকারি এবং বেসরকারিভাবে পর্যাপ্ত খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। কিন্তু কিছু কিছু এলাকায় সমন্বয়, শৃঙ্খলা বা জনপ্রতিনিধির দক্ষতার অভাবে যথা সময়ে অসহায় পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহ হচ্ছে না। তাই সঠিক সময়ে সকল অসহায় পরিবারের কাছে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছাতে নিজেই সবার দরজায় দরজায় যাচ্ছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ১৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর একেএম আরিফুল ইসলাম ডিউক।
তিনি স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে প্রতিদিন ছুটে যাচ্ছেন একেকটি ব্লকের বিভিন্ন অসহায় পরিবারের কাছে। অসহায় পরিবারের কাছে নিজ হাতে তুলে দিচ্ছেন খাদ্য সামগ্রী। কাউন্সিলর নিজেই উপস্থিত থেকে ত্রাণ বিতরণ করায় লোকজনও খুবই সন্তুষ্ট।
স্বহস্তে ত্রাণ বিতরণ প্রসঙ্গে কাউন্সিলর একেএম আরিফুল ইসলাম ডিউক বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে কর্মহীন অসহায় মানুষের কাছে প্রধানমন্ত্রীর উপহার নিখুঁতভাবে বন্টনের জন্য সবার দরজায় দরজায় আমি নিজেই যাচ্ছি। সরকারি এই ত্রাণ সহায়তা আসার আগেও আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে এবং আমার বিভিন্ন বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনের নিকট থেকে অনুদান নিয়ে এলাকার অনেক অসহায় পরিবারের নিকট খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করেছি। আমার ওয়ার্ডে লোকসংখ্যা বেশী হওয়ায় একসাথে সবার মাঝে পৌঁছানো খুবই কষ্টসাধ্য হচ্ছে। তাই ব্লকভিত্তিক ক্রমান্বয়ে সবার কাছে যাচ্ছি।
ত্রাণ বিতরণের ক্ষেত্রে ভোটার, মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান কোনটাই বিবেচনা করা হচ্ছে না। কর্মহীন অসহায় পরিবারের মাঝেই পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে খাদ্য সামগ্রী। এছাড়া অনেক মধ্যবিত্ত মানুষ আছেন যারা লজ্জায় আমার অফিসে আসতে পারেন না বা প্রেরিত তালিকায় নিজেদের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন না তারা আমাকে মেসেজ দিয়ে অথবা ফোন করে জানাচ্ছেন। আমি সাধ্যমত তাদের কাছে সহযোগিতা পৌঁছে দিচ্ছি।
এই করোনা সমস্যা দীর্ঘসময় থাকবেনা উল্লেখ করে সবাইকে ধৈর্য ধারণ করে ঘরে থেকে নিজেকে এবং অপরকে নিরাপদ রাখতে সহযোগীতা করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানান তিনি।