মঙ্গলবার, ১৫ই অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মঙ্গলবার, ১৫ই অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ মঙ্গলবার, ১৫ই অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই রবিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি

পাহাড়িদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব ‘ওয়াগ্যোয়াই পোয়ে’ শুরু হয়েছে

বান্দরবান প্রতিনিধি: পাহাড়ী বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব “ওয়াগ্যোয়াই পোয়েঃ” বা প্রবারণা পূর্ণিমা শুরু হয়েছে। ‘ওয়াগ্যোয়াই পোয়েঃ’ মারমা শব্দ, অনেকে এই উৎসবকে “ওয়াহ” বলে। “ওয়াগ্যোয়াই পোয়ে” শব্দের অর্থ উপবাসের পরিসমাপ্তি।পাহাড়ীরা আষাঢ়ী পূর্ণিমা-আশ্বিনী পূর্ণিমা পর্যন্ত ৩ মাস উপবাস করার পর ধর্মীয় গুরুদের সম্মানে এই উৎসব পালন করে।সকলের সমবেত প্রার্থনার মধ্য দিয়ে এই উৎসব শুরু হয়েছে।এই উৎসবকে ঘিরে পাহাড়ারীরা ৪ দিন ব্যাপী ধর্মীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
ওয়াগ্যোয়াই পোয়ে উপলক্ষে পাহাড়ি পল্লীগুলো সেজেছে নতুন সাজে। মার্মাদের পাশাপাশি বৌদ্ধ,চাকমা,তঞ্চ্যঙ্গারাও এই অনুষ্ঠানে যোগ দেয়। বাড়িতে বাড়িতে চলছে উৎসবের আমেজ। ওয়াইগ্যোয়াই পোয়েঃ কে ঘিরে প্রতিটি বৌদ্ধ ক্যায়াংয়ে ভিড় জমিয়েছে পাহাড়ি লোকজন। ওয়াগ্যোয়াই পোয়ে উপলক্ষে ছোয়ং দান, ফলমূল, ফুল ও মিষ্টান্ন দান, চন্দন পানিতে  বুদ্ধ স্থান, ফানুস উড়ানো ও হাজারে প্রদীপ প্রজ্জলন, পিঠা তৈরী, রথ যাত্রা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার ছোয়ং দানের পর সন্ধ্যায় ফানুস উড়ানো হবে।

ওয়াগ্যোয়াই পোয়ে কে ঘিরে পাহাড়ী তিন জেলায় ঢল নামে হাজার হাজার পর্যটকের। উৎসবটি এখন পরিণত হয়েছে পাহাড়ি-বাঙ্গালীর মিলন মেলায়।
উৎসব পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুইটিঙ উয়ে জানান, উৎসবকে সার্বজনীন করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বান্দরবান এর প্রকল্প কর্মকর্তা জানান তারা যাতে সুন্দরভাবে উৎসব উদযাপন করতে পারে
সেজন্য আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে।

লামা থানার ওসি তদন্ত লিয়াকত আলী বলেন,এইটা পাহাড়ীদের জন্য অনেক বড় উৎসব।এছাড়া উৎসব উপলক্ষে অনেক পর্যটক এসেছে।তাই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print