আশেক এলাহী, কক্সবাজার : সরকারের নেয়া মাদক ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির অংশ হিসেবে বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ মহেশখালীতে বসবাসরত জলদস্যূ ও পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসনের আশ্বাস দিয়ে তাদের অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়। র্যাব-৭ এর পরিচালনায় মহেশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল এর হাতে অস্ত্র জমা দিয়ে জলদস্যূ ও পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা আত্মসমর্পন করে।৯৪টি অস্ত্র, ৭ হাজার ৬শ ৩৭টি গুলিসহ ৬টি ভিন্ন গ্রুপের ৪৩ জন জলদস্যূ আত্মমসর্পণ করে।
আত্নসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল এম.পি।তিনি বলেন, দ্রুত মহেশখালী-কুতুবদিয়া অঞ্চল দস্যুমুক্ত হবে।তিনি আরো বলেন, স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসলে জলদস্যুদেরকে বিভিন্নভাবে সহায়তা প্রদান করা হবে।
এ সময় কক্সবাজার-২(মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনের সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক, র্যাবের ডিজি বেনজির আহমদ,চট্টগ্রাম বিভাগীয় পুলিশ কর্মকর্তা খন্দকার গোলাম ফারুক,কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন, পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, জেলা আওয়ামীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বেনজির আহমদ বলেন, ’জলদস্যুদের আমরা পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করতে পেরেছি। আগামী ৩১ অক্টোবর সুন্দরবনে সর্বশেষ জলদস্যুদের যে গ্রুপগুলো আছে তারাও স্বরাষ্ট্রমনস্ত্রীর উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণ করবেন।’
দস্যুদের কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না। দস্যুমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে বলে জানান র্যাবের মহাপরিচালক।