নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০ অক্টোবর শনিবার রাত ৮টার দিকে রসূলবাগের খালপাড় এলাকায় ইউসুফ ও ইউনুসের মালিকানাধীন প্রায় ৮০টি কাঁচা বসতঘর ও ৯টি দোকান পুড়ে গেছে।
সরেজমিনে অনুসন্ধান শেষে জানা যায়,বস্তির পার্শ্ববর্তী একটি চায়ের দোকানের গ্যাস সিলিন্ডারের চুলার লাইন ছিদ্র হয়ে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। আগুনের কারণে কয়েকটি সিলিন্ডার একসাথে বিস্ফোরিত হলে আগুন পাশ্বর্বতী অন্য দোকান ও বসতঘরে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।ক্ষতিগ্রস্থদের বরাত দিয়ে এলাকাবাসী জানান,বাসা এবং দোকানে অগ্নিকান্ডে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২০ লক্ষ টাকা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রসূলবাগ আবাসিক এলাকার এক বাড়ি মালিক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এই রকম একটা আবাসিকে বস্তি থাকাটা বিপদ জনক।আগে থেকে আমরা এই বস্তির মাধ্যমে এই ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হবো সেটা অনুমান করতে পেরে বস্তি সরিয়ে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন কমিটি এবং দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছিলাম।কিন্তু কোন ফল পাওয়া যায়নি।” এছাড়া এই বস্তিতে বিভিন্ন অপরাধ জনক কর্মকান্ড পরিচালিত হতো বলেও জানান তিনি।
ক্ষতিগ্রস্থ দোকানদার তৌহিদ জানান,তার দোকান ছিল ষ্টেশনারীজ।ফটোস্ট্যাট মেশিনসহ তার প্রায় ৪ লক্ষ টাকার মালামাল পুঁড়ে গেছে।
স্থানীয় মহিলা কাউন্সিলর ফারজানা পারভীন জানান, ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলোকে বাকলিয়া সরকারী স্কুলে এক রাত থাকার জন্য ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।সেখানে বিশুদ্ধ পানি এবং যথাসাধ্য খাবারের ব্যবস্থা করেছেন।রবিবার সকালে জেলা প্রশাসক এবং মেয়র মহোদয়ের কাছে অগ্নিকান্ড ও ক্ষয়-ক্ষতির বিষয়টি তুলে ধরে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য কিছু অনুদান সংগ্রহের চেষ্টা করবেন।
আগ্রাবাদ ফয়ার স্টেশনের সহ-পরিচালক পূর্ণচন্দ্র মুৎসুদ্দী জানান,ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিটের ১০টি গাড়ি ঘটনাস্থলে গিয়ে ৯টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।তবে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।