
প্রভাতী ডেস্ক: কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের চাঞ্চল্যকর শিশু আবীর হত্যাকাণ্ডে চাচাতো বোন নদীয়া জড়িত বলে ধারণা করছে পুলিশ। গত শনিবার(২১ডিসেম্বর) পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে নদীয়া জানায়, তার চুলে টান দিয়ে ধরায় ক্ষোভে সে আবীরকে জবাই করে হত্যা করে। আবার মাঝে মধ্যে সে এ ঘটনা বেমালুম অস্বীকার করেছে।
বাজিতপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সারোয়ার জাহান জানান, আবীর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শনিবার রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৬জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল আদালতে সোপর্দ করলে তাঁদের করাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। গ্রেপ্তাররা হলেন আবীরের চাচি রনি আক্তার, চাচাতো বোন নদীয়া, পাশের বাড়ির নয়ন মিয়া, মোতালিব মিয়া, গাজিরচর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আলাল উদ্দিন ও তাঁর ছেলে শাকিল মিয়া।
বাজিতপুর থানার এসআই ও তদন্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, নিহতের চাচাতো বোন নদীয়া আক্তার অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছে।
নৃশংস হত্যার শিকার আবীর গাজিরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি জুয়েল মিয়ার ছেলে। গত ১৯ ডিসেম্বর দুপুরে ঘাগটিয়ায় জুয়েলের নিজ বাড়িতে তাকে হত্যা করা হয়।