প্রভাতী ডেস্ক: সদা হাস্যোজ্জল রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ যেকোনো অনুষ্ঠানে একটু আধটু রসিকতা করেন।যদিও সমাবর্তন অনুষ্ঠানে একটু বেশী করেন।এই বার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে নিয়ে করা রসিকতার কারণে অনেকটা নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।যেটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভাইরাল হওয়া থেকে প্রতীয়মান হয়। কৌতুক করে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন: বিয়ের ক্ষেত্রে প্রিয়াঙ্কা ১০ বছরের নিচে নামলে ৩০ বছরের উপরে উঠতে কী সমস্যা?
রাষ্ট্রপতি বলেন,‘কিছুদিন আগে প্রিয়াঙ্কা দেশে এসেছিল। বাংলাদেশে দেশের বাইরে থেকে যতো গণ্যমান্য ব্যক্তি আসেন তাদের সবাই রাষ্ট্রপতির সাথে শেষ দেখা করতে আসেন গণভবনে। প্রিয়াঙ্কা যেদিন আসবে তার আগের দিন আমার স্ত্রীকে বলেছিলাম এবার তো প্রিয়াঙ্কা চোপড়া আসবে।’
‘তারপর আর প্রিয়াঙ্কা আসলো না। পরে জানতে পারলাম, আমার স্ত্রী নাকি টেলিফোন করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলেছে, প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার আসার কী দরকার। তার আসার দরকার নাই।’
তিনি বলেন: ‘আমাদের এখান থেকে যাওয়ার কিছুদিন পরই জানতে পারলাম প্রিয়াঙ্কা নাকি আমেরিকা গিয়ে তার চেয়ে বয়সে ১২ বছরের ছোট এক ছেলেকে বিয়ে করেছে। এখন আমার কথা হলো। সে যদি ১০ বছর নিচে নামতে পারে তাহলে ৩০ বছরের উপরে উঠতে সমস্যা কী। এ ধরনের সুযোগ সে যদি এখানেই পেয়ে যেতো, তাহলে তো তাকে সুদূর আমেরিকা যেতে হত না।’
রাষ্ট্রপতির এই রসিকতার কড়া সমালোচনা করে আসিফ নজরুল বলেন,মডেল প্রিয়ান্কা চোপড়া এসেছিলেন ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত হিসাবে।কিন্তু তাকে নিয়ে রাষ্ট্রপতির এই রসিকতায় আমি সত্যি অবাক এবং ক্ষুদ্ধ।একজন নায়িকাকে নিয়ে বখাটেরা যেমন খারাপ আসক্তি দেখান রাষ্ট্রপতিও একই রকম করলেন।এই ধরণের রসিকতা কোন অবস্থাতেই কাম্য নয়।যেটা সেটা বলে মানুষ হাসানো রাষ্ট্রপতির কাজ নয়।
রাষ্ট্রপতি পুরুষ নির্যাতন সম্পর্কে বলেন ‘সংসদে প্রধানমন্ত্রী যখন নারী নির্যাতন বিল পাশ করেন তখন প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলাম, পুরুষ নির্যাতন বিল দরকার। প্রধানমন্ত্রী তখন বলেছিলেন, এই মুহূর্তে এটা দরকার নাই। পরে দেখা যাবে। ৬ বছর পার হয়েছে এখনো কিছু হয়নি। আসলে সারা বিশ্বের নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগী পুরুষরা এটা টের পাচ্ছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসলে মনটা সাময়িক সময়ের জন্য হলেও চাঙ্গা হয় বলে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রপতি।