আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মোটা অংকের টাকা খরচ করেও নারী কেলেন্কারী থেকে রক্ষা পেলেন না পর্তুগিজ ফুটবল রোনালদো। প্রায় ৯ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক মডেল এবং বর্তমান শিক্ষক ক্যাথরিন মায়োরগাকে ধর্ষণের অভিযোগ পুনরায় সামনে আসার পর বেকায়দায় পড়েছেন পর্তুগিজ ফুটবল সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এর আগে বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে ওই মার্কিন তরুণীর সঙ্গে আপোষ করলেও সম্প্রতি সেই মডেল আবারও অভিযোগ তুলেছেন।অস্বীকার করতেছেন আপোষের চুক্তিপত্রকেও।
এই কারণে অস্বস্তিতে পড়েছেন জুভেস্টাস এই তারকা।
এদিকে, মায়োরগার সঙ্গে আপোষের পাশাপাশি সবদিক সামাল দিতে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বিশাল বাহিনী বানিয়েছিলেন রোনালদো। সেই বাহিনীর পেছনে ব্যয় হয়েছে বিপুল অংকের টাকা। ধর্ষণের ঘটনা ফাঁস করে দেওয়া সেই জার্মান ম্যাগাজিন ‘ডার স্পিগেল’ সম্প্রতি রোনালদোর এই বাহিনীর খবরও ফাঁস করে দিয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে রোনালদো ব্যয় করেছেন প্রায় ১৪,৭৫,০০০ কোটি ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১২ কোটির টাকারও বেশি।
এতে বলা হয়েছে,নেভাদার সিটি লাস ভেগাসের একটি নৈশ হোটেলে ‘অ্যানাল রেপ’ এর শিকার হওয়ার পর পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন মায়োরগা। এরপর সেই ঘটনা চাপা দিতে বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে বিশেষজ্ঞদের ডেকে এনেছিলেন রোনালদো। এই বাহিনীতে ছিলেন আইনজীবী, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা, চিকিৎসক, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ, গোয়েন্দা এমনকী সাংবাদিকও! কেবল এই বাহিনীর পেছনে ১০ লাখ ডলার খরচ করেছেন রোনালদো।
এর মধ্যে আইনজীবী রিচার্ড ব্রাইট প্রতি ঘণ্টায় ৪৭৫ ডলার করে নিতেন। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ঘণ্টায় নিতেন ৩৫০ ইউরো। আর চিকিৎসক এককালীন ২ হাজার ৫০০ ডলার নিয়েছেন। এছাড়া মায়োরগাকে আপোষে রাজী করানোর জন্য তাকে ৪ লাখ ৭৫ লাখ ডলার দিয়েছিলেন। কিন্তু মায়োরগা সম্প্রতি সেই আপোষনামা অস্বীকার করেছেন। এতকিছুর পর শেষ রক্ষা না হওয়ায় তাই বেজায় চটেছেন পাঁচবারের বর্ষসেরা এই তারকা।তাঁর আইনজীবী পিটার ক্রিশ্চিয়ান বলেন, মায়োরগোর সাথে লাস ভেগাসে যা হয়েছিলো সম্পূর্ণ মায়োরগার সম্মতিতে হয়েছিলো।তিনি আরো জানান,যাই হোক না কেন পূর্বের ন্যায় মায়োরগাকে আর কোন টাকা দেওয়া হবে না।এইদিকে মায়োরগার আইনজীবী বলেছেন,চুক্তির সব শর্ত পূর্ণ করা হয়নি।তাছাড়া ঐ সঙ্গমের কারণে তার মক্কেল শারিরীকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন,তাই তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।লাস ভেগাসের পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমেছে।রোনালদোকে জিজ্ঞাসবাদও করতে চায় পুলিশ।অভিযোগ প্রমাণিত হলে ১০ বছর সাজা হতে পারে রোনালদোর।রোনালদোর এই দুঃসময়ে তার স্ত্রী জর্জিনা তার পাশে রয়েছেন।