প্রভাতী ডেস্ক: খুলনার জিআরপি থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) ওসমান গনি পাঠান, এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) এবং তিন কনস্টেবলের বিরুদ্ধে গণ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। মাদক মামলার আসামি হিসেবে আদালতে তোলার পর বিচারকের সামনে পুলিশের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেন এক নারী। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আ’দালতের নির্দেশে রোববার রাতে তাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলেও সময় স্বল্পতার কারণে তা হয়নি। আজ সোমবার সকালে তাকে আবারো হাসপাতালে নেয়া হবে বলে জানা গেছে।
ঘটনা ধামাচাপা দিতে ওসি ওসমান গনি ওই নারীর পরিবারকে মোটা অঙ্কের টাকা প্রদানের প্রস্তাব দিয়েছেন বলেও ওই নারীর পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে।
ওই নারীর ভগ্নিপতি জানান, গত শুক্রবার তার শ্যালিকা (২১) যশোর থেকে ট্রেনে খুলনায় আসলে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রেলস্টেশনে কর্তব্যরত জিআরপি পুলিশের সদস্যরা তাকে সন্দেহজনকভাবে ধরে নিয়ে যায়। পরে গভীর রাতে জিআরপি পুলিশের ওসি ওসমান গনি পাঠান প্রথমে তাকে ধর্ষণ করেন। পরে এসআইসহ আরো ৪ পুলিশ কর্মকর্তা তার শ্যালিকাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।
পরদিন শনিবার ওই নারীকে ৫ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার দেখিয়ে মাদক মামলায় আদালতে তোলা হয়। কিন্তু আদালতে বিচারকের সামনে ওই নারী জিআরপি থানায় তাকে পালাক্রমে গণধর্ষণের অভিযোগ করেন। এরপর আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা করার নির্দেশ দেন।
তবে ওই নারীর অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেছেন ওসি ওসমান গনি। তিনি বলেন, মাদক মামলা থেকে রেহাই পেতে ওই নারী এ ধরনের অভিযোগ তুলছেন।