আশেক এলাহী: তিতলী পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকা থেকে বেশকিছু টা উত্তরে সরে এসে এখন শক্তিশালী ক্যাটাগরি ৩ ক্ষমতা সম্পন্ন ঘূর্ণিঝড় হিসেবে এক অংশ ভারতের উড়িস্যা তৎসংলগ্ন উত্তর গোপালপুর ও এর পার্শবর্তী এলাকা অতিক্রম করছে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫০ কিলোমিটার এর ভেতরে বাতাসের একটানা গড় গতিবেগ ঘন্টায় ১৫০ কিলোমিটার, যা ঝড়ো আকারে ১৮৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এটি এখন কিছুটা দুর্বল হয়ে ক্যাটাগরি ২ সম্পন্ন শক্তিশালি ঘূর্ণিঝড় হিসেবে স্থলভাগের উপর দিয়ে বাংলাদেশের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
এর প্রভাবে ঐ স্থানে ভয়াবহ ঝড়বৃষ্টি অব্যাহত আছে।
এটি যদিও গোপালপুর আঘাত করেছে, তারপরও এটি ধীরে ধীরে উপকূল ঘেঁষে বাংলাদেশের দিকে অগ্রসহ হচ্ছে এবং ১৩ ই অক্টোবর পশ্চিম বঙ্গের উপর দিয়ে বাংলাদেশের পশ্চিম দিক অতিক্রম করতে পারে,
সেই সময় ঘূর্ণিঝড় টি শক্তি অনেক হ্রাস পেলেও এর প্রভাবে আগামী শনিবার দেশের উপকূলে, বিশেষ করে খুলনা বরিশাল উপকূলে ঘন্টায় ৭০ থেকে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় টি এখন মংলা সমুদ্র বন্দর হতে ৫৫৫ কিলোমিটার দক্ষিন পশ্চিমে অবস্থান করছে।
দেশের সকল সমুদ্র বন্দরে ৪ চার নাম্বার সতর্ক সংকেত অব্যাহত আছে।
যেহেতু ঘূর্ণিঝড় টি গোপালপুর আঘাত করেছে, সুতরাং এর থেকে বাংলাদেশে বড় ধরনের কোন দূর্যোগ এর সম্ভাবনা নেই।
এদিকে এই ঘূর্ণিঝড় এর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে মাঝারি/ভারিবর্ষণ চলছে এবং তা আগামি ১৩/১৪ ই অক্টবর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
অতি ভারি বর্ষণ এর সতর্কতা : আজ সকাল ৮ টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘন্টার ভেতরে, কলকাতা, হাবড়াসহ খুলনা, ঢাকা, বরিশাল, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের প্রায় সকল স্থানে ভারি থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে, এবং চট্টগ্রাম, ও রাজশাহী বিভাগের সকল এলাকায় ভারি বর্ষণ ও রংপুর বিভাগের সকল এলাকায় মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতেপারে।