প্রভাতী ডেস্ক: এইচএসসি পাস করে আইনজীবী হিসাবে ৭বছর আইন পেশা পরিচালনা করে ভূয়া নারী আইনজীবী সুফিয়া খানম রিমি। ওই ভুয়া আইনজীবী পাঁচ বছর শিক্ষানবিশ এবং দুই বছর আইনজীবী হিসেবে কাজ করে অবশেষে রবিবার ঢাকা আইনজীবী সমিতির টাউট উচ্ছেদ কমিটির কাছে ধরা পড়েন। আইনজীবী হিসেবে মিথ্যা পরিচয় দান এবং জাল জালিয়াতির অভিযোগে সমিতির পক্ষ থেকে সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান জুয়েল কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী ওই নারীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
৭বছর আগে এলএলবি পাস করে বার কাউন্সিলে সদস্যভুক্তির জন্য আবেদন করেছেন জানিয়ে শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন ওই নারী। ২০১৮ সালে বার কাউন্সিল থেকে আইনজীবী হিসেবে সনদ পেয়েছেন মর্মে প্রচার করে ঢাকা আইনজীবী সমিতিতে আইনজীবী হিসেবে আইন পেশা শুরু করেন।
পাসের খুশির সংবাদে মহিলা আইনজীবী কমন রুমে ৫ কেজি মিষ্টিও খাওয়ান এই নারী। এইচএসসি পাশ ওই নারী এভাবেই নারী-পুরুষ সকল আইনজীবীকে ফাঁকি দিয়ে আইন পেশা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
উল্লেখ্য, ওই নারী গত ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ঢাকা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের সদস্য হিসেবেও কাজ করেছেন। এ ছাড়া, তিনি কয়েক বছর ধরে প্রার্থীদের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণাও করে আসছিলেন। তিনি আইনজীবী হিসেবে কোট-গাউন পরে মামলার শুনানীও করতেন ।