প্রভাতী ডেস্ক: অবশেষে জীবন যুদ্ধে হেরে গেলেন অগ্নিদগ্ধ মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি (১৮)। চিকিৎসকদের প্রাণপণ চেষ্টার পরেও তাকে বাঁচানো গেল না। ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী, আলিম পরীক্ষার্থী রাফি টানা ১০৮ ঘণ্টা মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি … রাজিউন)। বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের চিকিৎসক অধ্যাপক রায়হান আউয়াল তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুর আগে তিনি লাইফ সাপোর্টেও ছিলেন।
লাইফ সাপোর্টে যাওয়ার আগেও রাফি ভন্ড হুজুরের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। দগ্ধ হওয়ার আগে দুই বান্ধবীর উদ্দেশ্যে লেখা চিঠিতে তিনি ঘটনার শেষ দেখার ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন। কিন্তু তার শেষ দেখা হল না। বুধবার রাতে তার মরদেহ হিমঘরে রাখা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করে।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব ইমরুল কায়েস গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এ মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শোক জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদও।
মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার পর ঢামেক বার্ন অ্যান্ড পাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সামনে শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েন নুসরাত জাহান রাফির স্বজনরা। বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন তারা। মেয়ের মৃত্যুর খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন রাফির মা শিরিন আক্তার। জ্ঞান ফেরার পর ‘রাফিরে, আমার মা..রে বলে’ বিলাপ করতে করতে আবারো জ্ঞান হারান। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হয়। এদিকে রাত সাড়ে ১১টায় রাফির বাবা একেএম মুসা মানিক ও ভাই মাহমুদুল হাসান নোমানসহ অন্য স্বজনদের গাড়িতে করে একটি হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়।
গাড়িতে ওঠার আগে দেশবাসীর কাছে তার মেয়ের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া চান রাফির বাবা। মেয়ে হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। রাতেই রাফির মৃত্যু খবর ফেনীর সোনাগাজীতে পৌঁছলে সেখানেও শোকের ছায়া নেমে আসে। গ্রামের বাড়িতে তার কাছের আত্মীয়রা কান্নায় ভেঙে পড়েন। ভিড় বাড়তে থাকে নিকট আত্মীয়দের।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি নুসরাতকে আমরা বাঁচাতে পারলাম না। ডিপ বার্ন হওয়ায় প্রথম থেকেই রাফির বাঁচার সম্ভাবনা ছিল ক্ষীণ। আগুনে তার শরীর পুড়ে কালো হয়ে গিয়েছিল। সামন্ত লাল সেন জানান, রক্ত ও ফুসফুসের মারাত্মক সংক্রমণ থেকে কার্ডিও রেসপিরেটরি ফেইলিয়র (হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ) হয়। এতেই তার মৃত্যু হয়। ৮০-৮৫ ভাগ বার্ন হওয়া রোগীর বডিতে অনেক রকম সমস্যা হয়। এই রোগীকে বাঁচানো খুব মুশকিল। এই ধরনের পেশেন্টের হঠাৎ মৃত্যু হয়। আমরা সিঙ্গাপুরে কথা বলেছিলাম, তারাও বলেছিল চান্স অব সারভাইবেল কম।’
নুসরাত জাহান রাফির চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম বলেন, রাফিকে বাঁচাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি আমরা। বুধবার সকাল থেকে তার অবস্থার অবনতি হতে থাকে। একাধিকবার তার হার্ট অ্যাটাক হয়, তারপরও সে সার্ভাইভ করেছিল। কিন্তু রাত সাড়ে ৯টার দিকে সব শেষ হয়ে যায়। মারা যায় রাফি।
ঢামেক হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. তানভীর আহমেদ বলেন, ‘নুসরাতের শরীরের ৮৫ ভাগ মেজর বার্ন। এর মধ্যে ৬০ ভাগ গভীর পোড়া। তার শ্বাসতন্ত্র পোড়া ছিল। কেরোসিন নিজেই টক্সিক। এটা ফুসফুস এবং ব্রেনের কার্যক্ষমতাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয়। এসব কারণই তার মৃত্যু হয়েছে বলা যায়।’
নুসরাতের চাচাতো ভাই ওমর ফারুক বলেন, দুপুরে রক্তের দরকার পড়েছিল, তখন আমরা রক্ত সংগ্রহ করে দেই। কিন্তু চিকিৎসকরা সকাল থেকে বারবার রাফির অবস্থার অবনতির কথা বলছিলেন। চিকিৎসকদের আশঙ্কাই সত্যি হল। রাফির অপর চাচাতো ভাই ফরহাদ হোসেন বলেন, আমরা রাফি হত্যার বিচার চাই, আর কিছু বলার নাই। যারা এমন একটা কাজ করল, তাদের শাস্তি চাই।
রাফির বাড়িতে তার বৃদ্ধ দাদা মাওলানা মোশারফ হোসেন ছাড়াও রয়েছেন বিবি রহিমা খাতুন নামে তার ছোট ফুপু। রাফির মৃত্যুর খবর শুনে বৃদ্ধ দাদা বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন। স্থানীয়রা জানায়, রাফির দাদাও একজন হার্টের রোগী। তাই তাকে প্রথমে ঘটনাটি জানানো হয়নি। রাফির মৃত্যুর খবর শুনে প্রতিবেশীরা বাড়িতে এসে জড়ো হলে হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। রাফি মারা যাওয়ার পর বাড়িতে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ।
উল্লেখ্য, ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় যান নুসরাত জাহান রাফি। মাদ্রাসাছাত্রী ও তার বান্ধবী নিশাতকে ছাদের ওপর কেউ মারধর করছে এমন সংবাদে তিনি ছাদে গেলে সেখানে বোরকা পরা ৪-৫ জন তাকে অধ্যক্ষ সিরাজ-উ-দ্দৌলার বিরুদ্ধে করা শ্লীলতাহানির মামলা তুলে নিতে চাপ দেয়।
কিন্তু মামলা তুলতে অস্বীকৃতি জানালে কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা রাফির গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় সোমবার রাতে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলা ও পৌর কাউন্সিলর মুকছুদ আলমসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন অগ্নিদগ্ধ রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান। এর আগে ২৭ মার্চ ওই ছাত্রীকে নিজ কক্ষে নিয়ে শ্লীলতাহানি করেন অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলা। এ ঘটনায় ছাত্রীর মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন। ওইদিনই অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলাকে আটক করে পুলিশ। সেই ঘটনার পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।
যারা রিমান্ডে:
রাফিকে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা মামলার প্রধান আসামি ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলাসহ ৩ জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সরাফ উদ্দিন আহম্মেদ এ আদেশ দেন।
কোর্ট ইন্সপেক্টর গোলাম জিলানী জানান, এসএম সিরাজ- উ-দ্দৌলাকে ৭ দিন, একই মাদ্রাসার ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক আবছার উদ্দিন এবং সহপাঠী আরিফুল ইসলামকে ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর আগে মঙ্গলবার একই আদালত আসামি নুর হোসেন, কেফায়াত উল্লাহ, মোহাম্মদ আলা উদ্দিন ও শাহিদুল ইসলামকে ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। প্রত্যেককেই ৭ দিন করে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানানো হয়েছিল। মঙ্গলবার রাতে আটক উম্মে সুলতানা পপি (অধ্যক্ষের শ্যালিকার মেয়ে) ও মামলার এজাহারনামীয় আসামি যোবায়ের হোসেনকে বুধবার সন্ধ্যায় আদালতে হাজির করে ৭ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ।
ওসি প্রত্যাহার:
নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে প্রত্যাহার করে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) সংযুক্ত করা হয়েছে।একই সঙ্গে মামলার তদন্তভার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দেয়া হয়েছে। বুধবার পুলিশ সদর দফতরের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা একেএম কামরুল আহছান এ তথ্য জানিয়েছেন। পিবিআই এর আবেদনে মামলার প্রধান আসামি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদ্দৌলাসহ ৩ জনের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এর আগে মঙ্গলবার ৪ জনকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। এদিকে পিবিআই দায়িত্ব নেয়ার পর এ মামলার গুরুত্বপূর্ণ দুই আসামি আটক হয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে। এদের একজনকে ঢাকার ফকিরাপুলের একটি হোটেল থেকে আটক করা হয়। তিনি একটি প্রভাবশালী দলের থানা পর্যায়ের নেতা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।
অপরজনকে আটক করা হয়েছে ফেনী থেকে। তিনিও একটি ছাত্র সংগঠনের কর্মী। তবে পিবিআই সংশ্লিষ্টরা এ বিষয়টি স্বীকার করেননি। পিবিআই’র ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার বলেন, মামলার তদন্ত কাজ চলছে। আমরা আগাচ্ছি, শিগগিরই ভালো খবর দিতে পারব।
ফেনীর পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম সরকার জানান, পুলিশ সদর দফতরের একটি চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সোনাগাজী থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। মামলাটি পিবিআইয়ে হস্তান্তরের জন্যও পুলিশ সদর দফতর থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে পিবিআইয়ের কাছে মামলার নথিপত্র বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি জানান, মাদ্রাসাছাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টা মামলায় পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। এরই মধ্যে মামলার প্রধান আসামিসহ ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।
৩ দিনেও কাজ শুরু করতে পারেনি তদন্ত কমিটি :
রাফিকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনার ৩ দিনেও তদন্ত কাজ শুরু করতে পারেনি জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি। বুধবার ৩ কার্যদিবস শেষ হলে পুনরায় মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেন কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) পিকেএম এনামুল করিম। জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, তদন্ত কমিটি ৭ দিন মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করলেও ৫ দিন সময় বাড়ানো হয়েছে।
আমি লড়ব শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত :
অগ্নিদগ্ধ নুসরাত জাহান রাফির বাসা থেকে দুটি চিঠি উদ্ধার করেছে পুলিশ। ২৭ মার্চ অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলার হাতে যৌন হয়রানির শিকার হওয়ার পর সাথী ও তামান্না নামের দুই সহপাঠীকে উদ্দেশ্য করে লেখা দুটি চিঠি বুধবার বিকালে তার বাড়ি থেকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন উদ্ধার করেন। সোনাগাজী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামাল হোসেন চিঠি উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তার খাতায় লেখা চিঠি ঘটনার আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে।
একটি চিঠিতে রাফি উল্লেখ করেন, ‘তামান্না, সাথী। তোরা আমার বোনের মতো এবং বোনই। ওই দিন তামান্না আমায় বলেছিল, আমি নাকি নাটক করতেছি। তোর সামনেই বলল। আরো কী কী বলল, আর তুই নাকি নিশাতকে বলেছিস আমরা খারাপ মেয়ে। বোন প্রেম করলে কি সে খারাপ? তোরা সিরাজ-উ-দ্দৌলা সম্পর্কে সব জানার পরও কীভাবে তার মুক্তি চাইতেছিস। তোরা জানিস না, ওইদিন রুমে কী হইছে? উনি আমার কোন জায়গায় হাত দিয়েছে এবং আরও কোন জায়গায় হাত দেয়ার চেষ্টা করেছে, উনি আমায় বলেছিল- নুসরাত ঢং করিস না। তুই প্রেম করিস না? ছেলেদের সঙ্গে প্রেম করতে ভালো লাগে। ওরা তোরে কী দিতে পারবে? আমি তোকে পরীক্ষার সময় প্রশ্ন দেব।’ এর জবাবে উত্তর দিলাম- ‘আমি একটা ছেলে না হাজারটা ছেলে…।’
অপর চিঠিতে রাফি লেখে- ‘আমি লড়ব শেষনিঃশ্বাস পর্যন্ত। আমি প্রথমে যে ভুলটা করেছি আত্মহত্যা করতে গিয়ে। সেই ভুলটা দ্বিতীয় বার করব না। মরে যাওয়া মানে তো হেরে যাওয়া। আমি মরব না, আমি বাঁচব। আমি তাকে শাস্তি দেব। যে আমায় কষ্ট দিয়েছে। আমি তাকে এমন শাস্তি দেব যে তাকে দেখে অন্যরা শিক্ষা নেবে। আমি তাকে কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তি দেব। ইনশাআল্লাহ।’