প্রভাতী ডেস্ক: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) রাজস্ব শাখায় অভিযান চালিয়েছে দূর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)। অভিযানে ট্রেড লাইসেন্স করতে অতিরিক্ত ফি আদায়সহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের দুদক কর্মকর্তারা।
ট্রেড লাইসেন্স প্রদানে অনিয়ম-দুর্নীতি ও হয়রানির সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ তদন্ত করতে বুধবার (১০ এপ্রিল) সকালে দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত কার্যালয় -১ এর একটি দল প্রথমে নগর ভবনে প্রধান রাজস্ব কার্যালয়ে যায়। সেখানে রাজস্ব কর্মকর্তাদের সঙ্গে দুদক তারা বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন। বেশ কয়েকটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নিয়ে কথা বলেন তারা। যাচাই করা হয় নথিপত্র। ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে দ্বিগুণ-তিনগুণ বেশি অর্থ নেওয়ার অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন দুদক কর্মকর্তারা। তবে অভিযানে রাজস্ব শাখার কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত কার্যালয় -১ এর উপ-পরিচালক লুৎফুল কবীর চন্দন বলেন, সকাল থেকে সিটি করপোরেশনে অভিযান পরিচালনা করে ট্রেড লাইসেন্স শাখায় অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে। লাইসেন্স প্রদানের রেজিস্টার রাখা হচ্ছে না, পরিদর্শকরা নগদ টাকা নিচ্ছেন।সুনির্দিষ্টভাবে নিবন্ধন করা হচ্ছে না কোন তথ্য।
তিনি বলেন, করপোরেশনের প্রধান কার্যালয়ের সাথে সার্কেল অফিসের সমন্বয়হীনতার কারণে সরকারি কোষাগারে ঠিকমত রাজস্বও জমা হচ্ছে না। গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলেছেন উল্লেখ করে লুৎফুল কবীর বলেন, উল্লেখিত অর্থের দুই থেকে তিনগুণ বেশি টাকা নেওয়ার প্রমাণ মিলেছে। পরিদর্শকদের মধ্যে দুর্নীতির প্রবণতা অনেক বেশি। তিনি আরো বলেন, অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য-প্রমাণ পাওয়ার বিষয়ে কমিশনকে জানানো হবে। কমিশন অনুমতি দিলে সার্বিক তদন্ত করে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে প্রথমবারের মত মেয়র নির্বাচিত হন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন। তাঁর আমলে এটাই চসিকে প্রথম দুদক কোন অভিযান পরিচালনা করলো।
এর আগের মেয়র এম মনজুর আলমের সময়ও দুদক একাধিকবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে অভিযান চালিয়ে নথিপত্র জব্দ করেছিল।