Search

সোমবার, ১৩ই অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সোমবার, ১৩ই অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ সোমবার, ১৩ই অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২০শে রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি

ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ

২২ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ: মা ইলিশ সংরক্ষণে ১৭ যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন নৌবাহিনীর

নৌবাহিনী স্থানীয় প্রশাসন, কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ এবং মৎস্য অধিদপ্তরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে কাজ করছে

ইলিশ মাছের প্রজনন মৌসুমে ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫’ বাস্তবায়নে দেশের সমুদ্র, নদী ও উপকূলীয় এলাকায় কঠোর নজরদারি ও অভিযান চালাচ্ছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।

শনিবার (৪ অক্টোবর) থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিনব্যাপী চলবে এ অভিযান। এ সময় সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ থাকবে।

সরকার ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে “ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার” এর আওতায় নৌবাহিনীর ১৭টি যুদ্ধজাহাজ দেশের ৯টি জেলায় মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযানে চাঁদপুর, কক্সবাজার, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, বরিশাল ও পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে। শনিবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় নৌবাহিনী।

কোথায় কোন জাহাজ মোতায়েন:

•চাঁদপুর: বানৌজা ধানসিঁড়ি/শহীদ ফরিদ, বিএনডিবি গাংচিল

•কক্সবাজার: বানৌজা অতন্দ্র, শহীদ মহিবুল্লাহ, দুর্জয়, সাগর, শহীদ দৌলত

•খুলনা: বানৌজা মেঘনা, চিত্রা/তিতাস

•বাগেরহাট: বানৌজা করতোয়া, আবু বকর/দুর্গম

•পিরোজপুর ও বরগুনা: বানৌজা সালাম, কুশিয়ারা

•বরিশাল: বানৌজা পদ্মা, চিত্রা/তিতাস

•পটুয়াখালী: এলসিভিপি-০১৩

নৌবাহিনী জানায়, অভিযানে নৌবাহিনীর জাহাজ, ক্রাফট ও বোটসমূহ সার্বক্ষণিক টহলে নিয়োজিত রয়েছে। পাশাপাশি গভীর সমুদ্রে দেশি-বিদেশি সকল ধরনের অবৈধ মাছ শিকার প্রতিরোধে যুদ্ধজাহাজ ও অত্যাধুনিক মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট দ্বারা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।

নৌবাহিনী স্থানীয় প্রশাসন, কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ এবং মৎস্য অধিদপ্তরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে কাজ করছে। এ সময় অবৈধ মাছ ধরায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ করা হবে এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণা চালানো হবে।- জানায় নৌবাহিনীর ওই বিজ্ঞপ্তিতে।

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইলিশের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত করতে তারা সদা প্রস্তুত রয়েছে। এ অভিযান দেশের জাতীয় মাছ ইলিশের প্রাচুর্য বৃদ্ধি ও সামগ্রিক মৎস্য সম্পদের সমৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print