প্রায় ৬ ঘণ্টার অভিযানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা আবদুস সবুর লিটনের বাসা থেকে ৩ কোটি ৩৭ লাখ ৫০ হাজার পিস সিগারেট স্ট্যাম্প জব্দ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দিনগত রাতে নগরের হালিশহর থানার রমনা আবাসিক এলাকার আল ফরিদ ভবনে এ অভিযান পরিচালনা করে কাস্টমস কাস্টমস গোয়েন্দা এবং কাস্টমস ভ্যাটের একটি টিম।
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অভিযানে বাসাটি থেকে তিন কোটি ৩৭ লাখ ৫০ হাজার পিস সিগারেট স্ট্যাম্প, ১৪৮টি সাদা বড় রোল, ৪২৫টি সাদা ছোট রোল, ১২৬টি কালো বড় রোল ও এক হাজার ৩৭টি কালো ছোট রোল জব্দ করা হয়।
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোছা. আয়শা সিদ্দিকা বলেন, সিগারেট তৈরির কাঁচামাল আমদানি ও এসবের আইনবহির্ভূত ব্যবহার এবং নকল সিগারেট উৎপাদনসহ এ খাতে বিদ্যমান অনিয়ম চিহ্নিত করতে ও নিবারণমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে এনবিআর একটি কমিটি গঠন করে। এ কমিটি রাজস্ব ফাঁকিসহ সিগারেট খাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
কাস্টমস গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, বাসাটির মালিক চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা আবদুস সবুর লিটন এবং তার ভাই আব্দুল মান্নান খোকন। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের যোগসাজশে বিদেশ থেকে অবৈধ ব্যান্ডরোল আমদানির কারণে আলোচিত লিটন।
বিজয় ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো ও তারা ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকোসহ কয়েকটি সিগারেট কারখানার মালিক তিনি। এসব কারখানায় প্রস্তুতকৃত সিগারেটে নকল ব্যান্ডরোল লাগানো হতো। ভ্যাট গোয়েন্দা একটি টিম তদন্ত করে এসবের সত্যতা পেয়েছিল কয়েক বছর আগেই। তবে নওফেলের প্রভাবের কারণে লিটনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেনি এনবিআর।